মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার অন্তর্গত আত্রাই উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিয়ে কয়েক বছর যাবৎ বেশ আলোচনা সমালোচনা চলে আসছে।কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যথা।এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৯৫% জনই অসন্তোষ প্রকাশ করো কর্তব্যরত চিকিৎসকদের আচার-আচরণে। এসব বিষয় নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও আমলে নেয় না ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এখানে চিকিৎসা নিতে এসে অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারপরেও কোন কিছুতেই ঘুম ভাঙ্গে না মেডিকেল সেক্টরের বাবুদের।চিকিৎসকদের অবহেলা কারণে অনেক রোগী মৃত্যুবরণ করেছে। এখানে জ্বরের চিকিৎসা হয়না বলে দাবি করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহ সংবাদপত্রে একাধিকবার লেখালেখি হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর,রোজ সোমবাী সাপে কাটা রোগী হাবিবুর রহমান খন্দকার(৩৫) পিতা:-আব্দুল গফুর খন্দকার (৯৭) গ্রাম;-ব্রজপুর থানা :-আএাই জেলা নওগাঁ। চিকিৎসা নিতে আসেন।সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা এখানে হবে না বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করেন। নিয়তির নির্মম পরিহাস পথের মাঝে রোগটি মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। আর এতেই আলোচনা সমালোচনার বইতে থাকে ফেসবুক জুড়ে।নিম্নে পোস্ট’টি হবুহবু তুলে ধরা হলো;পাঠকদের উদ্দেশ্যে-
আমি আত্রাই বাসী কে দুঃখ ভর ক্লান্ত মন নিয়ে, বুক ভরা বেদনা কষ্টে চোখের জল নিয়ে এই পোষ্টটি লিখছি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি,এবং শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি, ,,, আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে মাত্র, এখানে কোন চিকিৎসা সেবা নেই,এদের কাজ একটায় যদি কোন রোগী যায় ১ম এ স্যালাইন করে,আর এদের কমন ওযু হাত এখানে হবে না,রাজশাহী নাও। গতকাল আমার প্রান প্রিয় বন্ধুর মতো সহপাঠী, মামা হাবিবুর রহমান (৩৫)…মাঠে কাজ করতে গিয়ে সাপের কামুড় খেয়ে, হাসপাতালে গেলে তাকে তারা স্যালাইন করে রাজশাহী মেডিকেল নিয়ে যেতে বললে,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সরকারী আম্বুলেন্স,তাকে নিয়ে রাজশাহী উদ্দেশ্যে রওনা হলে,রাস্তায় চলমান ভান সাইকেল উক্ত আম্বুলেন্স কে অভাবটেক করে চলে যায় অদক্ষ চালাক বুড়ো, যার গাড়ী চালানোর কোন ধরন নেই,হেঁটে গেলেও তার গাড়ীর আগে রাজশাহী পৌছা যাবে,রাজশাহী যাবার পথ এ আমার মামা বন্ধু মারা যান,,,,,আমার আত্রাই বাসীর কাছে,আত্রাই প্রশাসন,আত্রাই নেতানেত্রী বৃন্দ দের কাছে দাবি,উক্ত ডাইভারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যাবস্থা করা হোক,আর আত্রাই হাসপাতাল কসাইখানা কে ভেঙ্গে একটি খেলার মাঠ বানানো হোক,তবুও ফাঁকা জায়গায় লোকজন শরীর চর্চা করে সুস্থ থাকবে,অযথা সরকারি টাকা বেতন দিয়ে দেশ কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবার কোন দরকার নেই,যেখানে কোন চিকিৎসা নেই সেখানে কি দরকার পশুগুলোকে পালন করার!,,,একটি কুকুর কে ভাত দিলে মালিক কে পাহারা দায়, এদের চাকুরী দিয়ে বেতন দিয়ে মৃত্যু কে ডেকে আনা হয়”……অতিকষ্টে কথা গুলো লিখলাম,ভুলক্রুটি ক্ষমা করবেন”—মো:-আল-ইমাম.বি,এস এস,/এম,এস,এস নবাব সিরাজ উদ দৌলা কলেজ নাটোর।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান ডাক্তার রোকসানা হ্যাপীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
Leave a Reply