মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোকসানা হ্যাপীকে অবশেষে অপসারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং রোগীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠছিল।
সম্প্রতি স্থানীয় সচেতন মহল, ভুক্তভোগী রোগী ও সেবাপ্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) রোজ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরে আসে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে ওই দিনই আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সরিয়ে মামুদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট,রাজশাহী বদলির নির্দেশ দেন।
অভিযোগের তালিকায় যা ছিল
রোকসানা হ্যাপীর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন,
সরকারি তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ,
বিভিন্ন খাতে আর্থিক অনিয়ম,
স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে আসা সাধারণ রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার,
অধীনস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ,
সরকারি নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতা চালানো।
এসব অভিযোগের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ জমে উঠছিল।
জনদাবির প্রতিফলন
মানববন্ধন ও সংবাদ প্রকাশের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া এ পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা পরিবর্তন আনতে পারে।
স্থানীয়রা বলছেন, “আমরা অনেক দিন ধরে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। অবশেষে আমাদের আন্দোলনের জয় হলো।”
স্বচ্ছ স্বাস্থ্যসেবার প্রত্যাশা
এলাকাবাসী আশা করছেন, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসার পর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান উন্নত হবে, দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ হবে এবং রোগীরা প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পদক্ষেপকে স্থানীয়রা একটি সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন, এমন অনিয়মে জড়িত আরও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
Leave a Reply