1. ssexpressit@gmail.com : admin :
  2. dailynatundiganto@gmail.com : Homayon Kabir : Homayon Kabir
সর্বশেষ :
ভুয়া MBBS ডাঃ ও আওয়ামী নেতা হামিদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই – মোহাম্মদ আইয়ুব খান  যশোর খুলনা ও কপিলমুনিতে এডুকেশন এক্সপো- ২৫ মেলাতেই মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ সাভারে সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর হামলায় নিহত ১, আহত ৮ — আতঙ্কে স্থানীয়রা আত্রাই সাংবাদিক পরিচয়ে অফিস-আদালত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আ.লীগ নেতারা আগামীতে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে ইনশাল্লাহ – মোহাম্মদ আইয়ুব খান  আত্রাই ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ধরা খেলো আ.লীগ নেতা টিসোল বিডি-ডিআইইউ আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৫: ভাষা শিক্ষায় মানবিক মূল্যবোধ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মেলবন্ধন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন নারী চোর আটক আত্রাই দিনমজুর থেকে কোটিপতি, আলোচিত আ.লীগ নেতা হাসান মেম্বার গ্রেফতার

খেলতে গিয়ে দুই শিশুর মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় আহত শিশুর মাতার মামলায় অপর শিশুর পিতা কারাগারে

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক: বরগুনার আমতলীতে খেলতে গিয়ে দুই শিশুর মধ্যে ধস্তাধস্তিতে হামিম নামে এক শিশুর চোখে আঘাত লেগে আহত হওয়ার ঘটনার মামলায় অপর শিশু আলিফের পিতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এদিকে শিশু আলিফ এবং তার বাবার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছবিতে দেখা যায় হাতকড়া পরিহিত বাবাকে জরিয়ে ধরে আছে শিশু আলিফ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার আবু হানিফের পুত্র হামিম ও একই এলাকার বাহাদুর খানের পুত্র মোঃ আলিফ। দুই শিশুর বাসা পাশাপাশি হওয়ায় তারা সারাক্ষণ এক সাথেই থাকে এবং খেলাধুলা করে। পারিবারিকভাবেও তাদের দুই পরিবারের মধ্যে রয়েছে অনেক ঘনিষ্ঠতা। গত এক মাস পূর্বে বাড়ির উঠানে বসে খেলছিলো শিশু হামিম ও আলিফ। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড় হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে শিশু হামিমের চোখে আঘাত লেগে সে গুরুত্বর। আহত হয়। এরপর আহত আলিফের পরিবার আহত শিশু হামিমের চিকিৎসা করায় এবং চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করেন।

ওই ঘটনার এক মাস পরে গত ১ নভেম্বর (সোমবার) আহত শিশু হামিমের মা মাইসুরা বেগম বাদী হয়ে অপর শিশু আলিফের বাবা বাহাদুর খানসহ আরও চার জনকে আসামি করে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ নভেম্বর (সোমবার) ওই মামলার শিশু আলিফের বাবা বাহাদুর খান আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর যখন বাবা বাহাদুরকে হাতকড়া পড়িয়ে অন্যান্য আসামীদের সাথে বরগুনা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তখন বাহাদুরের শিশু পুত্র আলিফ তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে নানান প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে থাকে। পিতা পুত্রের ওই দৃশ্য স্থানীয় কেহ ক্যামেরাবন্দি করে ঘটনার কারণ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। যা মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আলিফের চাচা জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, সামান্য একটা বিষয়টা নিয়ে তারা আদালত পর্যন্ত গেছে। স্থানীয়রা শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা আহত শিশু হামিমের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছি। এখন ক্ষতিপূরণ দিতেও চেয়েছিলাম। তবুও তারা মামলা উঠিয়ে নেয়নি। আজ আমার নির্দোষ ভাই বিনা দোষে জেল খাটছেন।

স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানায়, বিষয়টি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখেছি। শিশুরা একে অপরের সাথে ঝগড়া করবে আবার মিশবে। কোমলমতি শিশুদের ঝগড়া দিয়ে পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছড়ানো ঠিক হয়নি। একটি কথা সকলকে বুঝতে হবে শিশুরা যা শিখে তা তাদের পরিবার থেকেই শেখে আর পরিবার সচেতন হলে শিশুরা ভালো মানুষ হবে।

আমতলী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন ফরহাদ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি শুরু থেকেই আমি জানি। ওরা দু’জনেই শিশু, খেলার ছলে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে এজন্য মামলা পর্যন্ত যাওয়া ঠিক হয়নি। আমিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আহত শিশু হামিমের পরিবারকে মীমাংসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের বলেও আর মামলা উঠায়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে আহত শিশু হামিমের পরিবারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলেও তারা ওই ঘটনা ও মামলার বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
সূত্র দৈনিক ইনকিলাব

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :