নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারের আশুলিয়ায় সায়মন ইসলাম সিনিন নামের এক কিশোর কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম ও চাকু মেরে ভুড়ি বের করা ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং নেতাসহ দুইজন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা থেকে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হয়।এর আগে রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, কিশোর গ্যাং এর দুই সদস্য গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঢাকা জেলা,আশুলিয়া থানা, মধ্য গাজীরচট এলাকার অহিদুর রহমানের ছেলে আফজাল হোসেন (২৯), ও গাজীরচট চারালপাড়ার তোফায়েল সরদারের ছেলে তাহসান মাহমুদ (১৯)। সূত্রে জানায়, ভয়ঙ্কর এই কিশোর গ্যাং সদস্যরা সন্ধ্যার পর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পাড়া মহল্লার রাস্তায় মহড়া দেয় এবং রাস্তায় চলাচলরত পোশাক শ্রমিকসহ নিরীহ লোকজনদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও মারপিট করে সাথে থাকা টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি, ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসব কাজে কেউ বাঁধা দিলেই তার ওপর হামলা চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
কিশোর গ্যাং এর হামলায় আহত সায়মন ইসলাম সিনিন (১৭) আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট মুন্সিপাড়ার রবিউলের ছেলে। সে দি টাঙ্গাইল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলার বাদি রুমানা বেগম বলেন, গত মাসে সন্ধ্যায় আমার ছেলে গাজিরচট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চলমান মেলায় ঘুরতে গিয়ে মেলার মাঠে নৌকা খেলার সামনে দাড়িয়ে নৌকা খেলা দেখিতেছিল। এমন সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা আমার ছেলেকে অহেতুক কারনে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় গ্যাং নেতা আফজাল ধারালো চাকু দিয়ে আমার ছলের পেটে আঘাত করলে ভুড়ি বের হয়ে যায়, তারপরও সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় রক্তাক্ত অবস্তায় আমার ছেলেকে উপস্থিত লোকজন উদ্ধার করে আমাদের ফোনে জানালে আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে এখন আমার ছেলে বাসায় আছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই কিশোর গ্যাং সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply