বিশেষ প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার কাশিমপুর মেট্রো থানা এখন যেনো সোর্চদের দখলে,থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন প্রতিনিয়ত হচ্ছে সোর্চদের হেনেস্তার শিকার।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাশিমপুর মেট্রো থানার কিছু অফিসাদের সোর্চ হিসাবে কাজ করে এখন তারা নিজেরাই যেনো বড় অফিসার হয়ে উঠেছে।
তাদের পুলিশ কাটিং চুল,পকেটে কলম সহ তাদের শারীরিক গঠন দেখে বুঝার কোন উপায় নাই তারা অশিক্ষিত এবং সোর্চ হিসাবে কাজ করে।তাদের এক নজর দেখে যেকোন মানুষ তাদের থানার বড় কোন অফিসার মনে করতেই পারে।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে কাশিমপুর থানার তেমনই একজন সোর্চ মোঃ বাবু মিয়া (২৮), পিতা-মোঃ আইয়ুব আলী, মাতা-মোসাঃ মর্জিনা বেগম, সাং-মাটিঘটিপাড়া, পোঃ-চৌধুরানী, থানা-পীরগাছা, জেলা-রংপুর বর্তমান সাং-সারদাগঞ্জ, ০৪নং ওয়ার্ড, (রবিখাঁর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-কাশিমপুর, গাজীপুর মহানগর।
সে পূর্বে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতো বলে জানা যায়।এখন সে পোশাক কারখানার চাকুরী ছেড়ে থানার সোর্চ ও একজন উকিলের দালাল হিসাবে কাজ করেন বলে নিজেকে উপস্থাপন করে থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী মানুষদের কাছে।সে দিনের শুরু থেকে রাত্রি ১০/১১ টা পর্যন্ত থানার আশপাশে থাকে।দালালি আর সোর্চ গিরি করার জন্য সে বাসা ভাড়া ও নিয়েছে থানার খুব নিকটে।
সেখানে আসা লোকজন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে যার অজস্র তথ্য প্রমাণ রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।
বয়োজ্যেষ্ঠ একজন ভুক্তভোগী বলেন, সোর্চ বাবু তার মোবাইল নং কল দিয়ে বলেন আপনার ছেলের নামে মামলা হয়েছে।আপনি কি মামলার এজাহার থেকে আপনার ছেলের নাম কেটে নিবেন? যদি নিতে চান এসে দেখা করেন আমি আইনজীবী বাবু।কিভাবে থানার মামলার চার্জশীট থেকে আমার ছেলের নাম কাটবেন? ভুক্তভোগীর এমন প্রশ্নের জবাবে বাবু বলেন,আমি থানার দারোগা,পুলিশ সবাই আমার পরিচিত কোন সমস্যা নাই।
আসামীর বয়োজ্যেষ্ঠ মায়ের কাছ থেকে থানায় আসলে কৌশল মামলার এজাহার থেকে উনার ছেলের নাম কেটে দেওয়ার কথা বলে দুই ধাপে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সোর্চ বাবু।
আরেক জন ভুক্তভোগী বলেন,আমি একজনের কাছে ২৪ হাজার টাকা পায় এ বিষয় নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিতে আসলে বাবু নামের লোকটি আমায় ডাক দেয়।আমি কেন থানায় আসছি তা জানতে চায়।পরবর্তীতে আমি তাকে সব খুলে বললে সে বলে আমি তোমার টাকা তুলে দিবো থানায় কোন অভিযোগ দিতে হবে না।তারা এগুলো কাজ পারবে না, এগুলো কাজ আমি পারবো আমি টাকা তুলে দিবো ইত্যাদি।
আমায় সে উকিল পরিচয় দিয়ে আমার উপকার করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২৩০০/- টাকা নেয়।পরবর্তীতে সে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব আমায় দেয়।সেই সাথে আমায় বলে, আমি একজন উকিল মানুষ আমার সাথে কথা শুনলে আমার সাথে সম্পর্ক রাখলে তোমার অনেক উপকার হবে।আমি এই প্রতারক দুশ্চরিত্রা বাবুর বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আরও একটি নিশ্চিত হতে কথিত উকিল (সোর্চ) বাবুর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে পরিচয় গোপন রেখে কল দেওয়া হলে অপরপ্রান্ত থেকে সে প্রতিবেদকের কাছে উকিলের সহকারী হিসাবে পরিচয় দেন।সমস্যার কথা শুনে সে বলে ডিভোর্সের খরচ ৪০০০/- হাজার টাকা আমি কোর্ট থেকে সব কাজ করে দিবো। নানা কথার প্রসঙ্গে সে বলে বসেন এই উকিলের কাজ কি?
আপনি জানেন না!
Leave a Reply