1. ssexpressit@gmail.com : admin :
  2. dailynatundiganto@gmail.com : Homayon Kabir : Homayon Kabir
সর্বশেষ :
নওগাঁ জামিন নিতে গিয়ে বিএনপি’র ০৯ নেতাকর্মীকে শ্রীঘরে পাঠালো আদালত সাভারবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা নূর মাসুদ মোল্লা অসহায় দরিদ্রদের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে ওয়াসিল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের এক মিনিটের ঈদ বাজার বামনী খাল পুনঃখনন ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু কৃষক কে বাড়ী থেকে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে মাস্তান দিয়ে পিটালেন ইউপি চেয়ারম্যান কাশিমপুর থানা পুলিশের সোর্চ ও উকিল পরিচয়দানকারী বাবুর অপকর্মে শেষ কোথায়? আত্রাই দারোয়ান সবুজের কাছে জিম্মি মাদ্রাসা কমিটি, সুপার এর স্বেচ্ছাচারীতা ৫৪ তে প্রিয় স্বাধীনতা; স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধা নিবেদন চুরি হয়ে যাওয়া ৩০ মাসের নুসরাতকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছেন,এসআই হারুন সাভারে ভূমিদস্যুদের কবলে বিশ্বাস হাউজিং কোম্পানির জমি; জোরপূর্বক দখল চেষ্টা

“বদলিবিহীন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির বাজারে নাস্তানাবুদ”

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

মুহাম্মদ আলী,বদলি প্রত্যাশী এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। বছরে বছরে কিংবা মাসে মাসে নয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিদিন বললেও ভুল হবে। দাম বাড়ছে সকাল বিকাল। জনজীবন আজ বিপর্যস্ত, মধ্যবিত্তরা আজ ধরাশায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষকের চোখে সরিষা ফুল।
চালের দাম বেড়েছে, ডালের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নুন, তেল, আটা, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চিনি, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম। দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, তরু তরকারির। দাম বেড়েছে সকল কিছুর। হয়ত কিছু মানুষের আয় বেড়েছে। যাদের আয় বেড়েছে তারা হয়ত বাজারের সাথে তাল মেলাতে পারছেন। তবে সে সংখ্যা খুবই নগন্য। দেশের অধিকাংশ মানুষই নিম্ন ও মধ্য আয়ের। তারা তো কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্যের সাথে পেরে উঠতে পারছেন না। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সরকারি, বেসরকারি নানা সাহায্য পেয়ে থাকেন। তারা অন্যের কাছে চাইতেও পারেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্তরা আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা। তারা কোনো সাহায্যও পান না। আবার কারো কাছে হাতও পাততে পারেন না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে যে শিক্ষক বাড়ি ছেড়ে ১০০ কিলোমিটার থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে চাকরি করছেন তারা তো একেবারেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একজন রাজমিস্ত্রী কিংবা অন্যোন্য শ্রমিকের দৈনিক হাজিরা নূন্যতম ৫০০ টাকা। অথচ একজন এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকের সর্বসাকুল্যে বেতন মাত্র ১২,৭৫০ টাকা। যা দৈনিক হিসেবে মাত্র ৪২৫ টাকা। একজন শ্রমিক যেন তেন কাপড় পরিধান করে কর্মে যেতে পারেন । কিন্তু একজন শিক্ষককে অবশ্যই মার্জিত পোষাক পরেই পাঠদান করতে হয়। পোশাকের জন্য শ্রমিককে বাড়তি খরচা গুনতে না হলেও শিক্ষকের তা প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানী পাওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষকই প্রতিষ্ঠান থেকে একটি টাকাও সম্মানী পাননা। কিছু শিক্ষক প্রাইভেট পড়িয়ে সামান্য বাড়তি আয় করতে পারলেও বেশিরভাগ শিক্ষক তা পারেন না। কিন্তু খরচ তো হবেই। আমার খুব আফসোস হয় মানুষ গড়ার কারিগরদের দুরবস্থার কথা ভেবে। যাদের থাকার কথা সর্বাপেক্ষা সমাদৃত। থাকার কথা সর্বোচ্চ সম্মানীয় আসনে। অথচ তারাই আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, বঞ্চিত, নিষ্পেষিত, নিপীড়িত। যে শিক্ষক দূরে গিয়ে চাকরি করছেন, তাকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। একটা ঝুপরি ঘর ভাড়া নিলেও তিন হাজার টাকা গুনতে হয়। ২/৩ সদস্যবিশিষ্ট পরিবারের একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের এক মাসের সর্বনিম্ন খরচ তার প্রাপ্ত বেতনের চেয়ে বেশি। আবার আমার মত বেশি দূরে যারা চাকরি করছেন, তাদের একার একবার বাড়ি যাতায়াত খরচ গুনতে হয় সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা। যারা নিজ বাড়িতে থেকে চাকরি করছেন তারা তবু দুবেলা ডালভাত খেয়ে বাঁচতে পারছেন। গ্রাম এলাকার নিজ বাড়িতে থেকে চাকরি করা একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের একবেলার বাজার না থাকলেও কচুশাক ভর্তা খেয়ে পার করতে পারেন। কিন্তু দূরে গিয়ে চাকরিরত একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সে সুযোগও নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির এই বাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির বিকল্প নেই। আর অর্থনৈতিক মুক্তি বলতে বেতন বৃদ্ধির কথাই বলতে। আর বেতন বৃদ্ধির কথা ভাবলেই সরকারের সক্ষমতার বিষয়টিও সামনে আসে। সহসা বেতন বৃদ্ধি সরকারের সম্ভব হয় না। তবে কি শিক্ষকেরা অবহেলায়, অপমানে আর অনাহারে মরবেন? হ্যাঁ, আমার কাছে এমনটাই মনে হয়। যদি এর একটা সুরাহা টানা না হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির এই বাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দিকে সরকার বাহাদুরের মুখ তুলে তাকানোটা এখন খুবই প্রয়োজন। সক্ষমতার প্রশ্নে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো সম্ভব যদি না হয় তবে তাদের বাজেটবিহীন ঐচ্ছিক বদলির সুযোগ প্রদান করা দরকার। এতে সরকারের এক টাকাও ব্যয় হবে না। অথচ দূরবর্তী এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা দুবেলা ডালভাত খেয়ে বাঁচতে পারবেন। সুতরাং সরকার বাহাদুরের নিকট বিনয়ের সাথে নিবেদন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলির সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করুন। তাঁদের বাঁচতে দিন।

মুহাম্মদ আলী
বদলি প্রত্যাশী এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক।
মগধরা, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।
নিজ জেলা: কুড়িগ্রাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :