সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি :
সাভারে অপারেশন ডেভিল হ্যান্ট অভিযানে সাবেক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের মামা আখতারুজ্জামান কুটি মোল্লাসহ ১৩ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। কুটি মোল্লাকে সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকা থেকে সাভার মডেল থানা পুলিশ আটক করে। আটক ১৩ জন আসামির মধ্যে ১২ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুটি মোল্লাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পরে মঙ্গলবার (১১ ফ্রেব্রুয়ারী) রাতে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর এ তথ্য জানান। তিনি জানান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সাভার মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুয়েল মিঞা ও ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাভার সার্কেল মোঃ শাহীনুর কবির আরো জানান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামানের নির্দেশে এবং সাভার মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুয়েল মিঞা এর নেতৃত্বে সাভার মডেল থানার একটি বিশেষ টিম ডেভিল হান্ট অপারেশন পরিচালনা করে। টিমটি ঢাকায় এবং সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মামা আখতারুজ্জামান (কুটি মোল্লা), মো: দেলোয়ার হাওলাদার (৫৭), যুবরাজ ইসলাম লিমন (২২), সাইফুল ইসলাম (৩৪), মো: শওকত আলী (৬৫), মো: আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), রুহুল আমীন (৫৫), মো: নাছির হোসেন (২৪), মো: সেলিম ভূঁইয়া (৫০), মো: আনোয়ার হোসেন মাঝি (৪৪), মো: শাহাদাত হোসেন (৩৪), আসমা খানম শিল্পী (৩৭) ও মো: আবুবকর ছিদ্দিক (৪৮)।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। গ্রেফতারকৃত আসামিরা ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা সহ নানা মামলার আসামি। পুলিশ জানায় তারা সকলেই ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল।
সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর সম্মেলন আরো বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, ফ্যাসিবাদের দোষরদের কোন ছাড় নয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা বিরোধিতা করেছে এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, তাদের যারা এখনো মামলার অন্তর্ভুক্ত হয়নি, কোন কারনে বেঁচে গেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সাভার অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বদ্ধপরিকর এবং সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
Leave a Reply