মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে খুনি হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিস হাসিনার দোসর নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নিকটস্থ ০৮ নং হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওমর ফারুখ এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।সে আত্রাই উপজেলা চত্বর,থানা চত্বর ও এর আশপাশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিস চষে বেড়াচ্ছে।
সে ছাত্রজনতার কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোর বিরোধীতা করে এসেছে।শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে তার দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে উস্কানী দিয়েছে,বিভিন্ন কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও করেছে।
সে ফ্যাস্টিস হাসিনা সরকারের সময় নিজ দলের তথা আওয়ামিলীগের প্রচার প্রচারণা একক ভাবে চালাইতে আওয়ামী নেতা থেকে রাতারাতি চলে যান সাংবাদিক বনে।দলের প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ে ” জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন” এর মত একটি জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিকের প্রেসকার্ড।এরপর থেকে সে বিএনপি,জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করত বীরদর্পে।
শুধু তাই নয়,নওগাঁ-০৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম কে নারী সাপ্লাই দিয়ে রাতারাতি হয়ে উঠেন তার বিশ্বস্ত এবং কাছের মানুষ।
এমপি ইসরাফিল আলম এর কাছের মানুষ হওয়ায় এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন ত্রাসের রাজ্য।নানা অবৈধ কাজের সাথে সে নিজেকে লিপ্ত করে অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলিয়ে হয়ে উঠেন কলাগাছ।সেই সাথে সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা অফিস থেকে হাতিয়ে নিতেন সরকারী সকল বিজ্ঞাপন।সে আওয়ামী নেতা হওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর কখনো আওয়ামী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করেননি সংবাদ প্রকাশ।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যর্থনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পর নিজের সকল অপকর্ম আড়াল করতে এবং নিজে বাঁচতে ঝুকে পড়েন সাংবাদিকতায়।শুরু করেন বিএনপি, জামায়াতের নেতাদের তৈলমর্দন।তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে যেয়ে সুবিধা করতে না পারলে ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছে যেয়ে কিছুটা সুবিধা করে নিয়েছে।
বর্তমানে জামায়েত ইসলামী দলের নেতাকর্মীদের কাছের মানুষ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করছে না প্রশাসন।গত ০৫ আগস্টের পর ফারুখ এর মত দোসর মার্কা সাংবাদিকদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রেফতার করতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনকে তবে আত্রাই উপজেলার চিত্র ভিন্ন।এই আওয়ামী নেতা ফারুখ ও তার মত নেতাকর্মীদের এখনো গ্রেফতার না করায় সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
Leave a Reply