মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার নিকটবর্তী আত্রাই উপজেলার ০৫ নং বিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা (৪৫) সহ ০৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।জানাযায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসার পর আজ তারা হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজকোর্টে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করা হলে বিচার আবু শামীম আজাদ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। নওগাঁ কোর্ট ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল মান্নান মেল্লাকে (৪৬) হত্যার উদ্যেশে গুরত্বর জখম করা হয়।উক্ত ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে নিকটস্থ থানায় মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৪ মাসের জামিনে এসেছিলেন আসামীরা।
মামলা নথী সূত্রে জানা যায়- গত ০১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা মোটরসাইকেল যোগে ইউনিয়নের সমসপাড়া বাজারে দলীয় অফিসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভাঙ্গা-জাঙ্গাল বাজারে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তার বাম পা ভেঙে যাওয়া সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে হামলাকারীরা তাকে রেখে চলে যায় তারা।
সংবাদ পেয়ে আব্দুল মান্নান মোল্লার বড় ভাই চাঁন মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেন।অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পরদিন চাঁন মোল্লা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খাঁন তোফাকে প্রধান আসামী করে ২২জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
ঘটনার পর তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাসহ ১৮ জন আসামী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তোফাজ্জল হোসেনসহ নয়জন আসামী মঙ্গলবার নওগাঁ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের (আসামী) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রেপক্ষের বিশেষ কৌশলী আব্দুল খালেক বলেন- আসামীরা উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত তাদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলা দায়রা ও জজ আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল। আর এ সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করবে না। আসামীরা আজ স্ব-শরীরে হাজিরা দিতে এসেছিলো। বিচারক কাগজপত্র দেখার পর তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply