আশুলিয়া প্রতিনিধি:সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার নিকটস্থ কুরগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৮ ঘটিকায়।ভুক্তভোগী কিশোর মা বলেন,আমার মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়াশোনা করে বাসা থেকে কোচিং করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাবার পর তার আর কোন সন্ধান পাই না আমরা।
পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি একই এলাকার আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বখাটে ছেলে রাব্বি (২২) স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন সিএনজি পাম্পের পাশ থেকে আমার মেয়ে মোছাঃ আফরা আবিরাকে তুলে নিয়ে যায়।সেই সাথে দুই দিন আটকিয়ে রেখে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা আরও বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি নিকটস্থ আশুলিয়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।আমাদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।অবশেষে ঘটনার ২ দিন পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা আরও বলেন,আমার মেয়েকে উদ্ধারের পাশাপাশি বখাটে রাব্বিকেও আটক করে পুলিশ। উদ্ধারের পর আমার মেয়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে (ভুক্তভোগী) অপহরণের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বখাটে রাব্বির ভয়ে আমার মেয়ে অপহরণের কথাটি অস্বীকার করে এবং বলে আমি স্বইচ্ছায় তার সাথে চলে গিয়েছি।
পরবর্তীতে কিশোরী কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর রাব্বি তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করেছিলো বলে স্বীকার করেন তিনি।
কিশোরী আরও বলেন, রাব্বি তাকে হুমকি দিয়েছে এই দুই দিন তোর সাথে যা কিছু হয়েছে সব ভিডিও করা আছে যদি আমার কথার বাহিরে যাস এবং যদি বলিস আমি জোরপূর্বক তোকে তুলে নিয়ে গিয়েছি।তাহলে তোর সব ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো।সেই সাথে কিশোরীকে দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকিও।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানাধীন নবীনগর বিট ইনচার্জ এসআই নূরে আলম বলেন,আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করি এবং আসামী রাব্বিকে ও আটক করতে সক্ষম হই।তিনি আরও বলেন, উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী কিশোরী ও আসামীকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করি।
এ বিষয় নিয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম সায়েদ হোসেন বলেন বলেন,ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে, সঠিক তদন্ত করে আসামীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply