শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:
আশুলিয়া থানার রাইটার পরিচয়দানকারী মোঃ হিরু আলম (৪৫) তার নিজ অফিস কক্ষকে ইতিমধ্যে অঘোষিত থানা হিসাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।তার বিরুদ্ধে রয়েছে অজস্র অভিযোগ তারপরও থানার পাশে অফিস নিয়ে বসে থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দিব্বি অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধ মূলক কার্যক্রম।
অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে কিন্তু অদৃশ্য কারনে তার ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, সে থানা পুলিশের রাইটার নয় তারপরও সে নিজেকে “এসআই আসলাম হোসেন” এর রাইটার পরিচয় দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে দুর্নীতি যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোঃ রাকিব হোসেন (২৩), পিতা মোঃ মজিবর রহমান, নামের একজন ভুক্তভোগী পারিবারিক সমস্যা নিয়ে থানায় আসেন অভিযোগ দিতে। সে (হিরু) নিজেকে রাইটার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী যুবককে কাছে ডেকে নিয়ে সবকিছু শুনে ডিউটি অফিসারের কাছে যাবার পরামর্শ না দিয়ে নিজের ইচ্ছামত অভিযোগ লিখতে শুরু করেন।অভিযোগ লেখা শেষ হয়ে গেলে নিজের ইচ্ছে মতো একজন অফিসার (এসআই আসলাম) কে দায়িত্ব দেন অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য।
বিষয়টি নিয়ে তাকে (হিরু) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে সারাসরি আসলে ডিউটি অফিসারের কাছে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
এ বিষয় নিয়ে গতকাল ২৭ ডিসেম্বর থানা ডিউটি অফিসার হিসাবে দায়িত্বে থাকা “এসআই হাসিব ” কে জানানো হলে তিনি বলেন উনি যে কাজটি করেছেন তা কোন ভাবেই কাম্য নয়।থানার দায়িত্বরত যারা রাইটার রয়েছে হঠাৎ কোন ভুক্তভোগী তাদের কাছে সরাসরি গেলে তাদের উচিত পরামর্শ দিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া। আমরা ভুক্তভোগীর কথা শুনে যদি অভিযোগ করার মত হয় তাহলে অভিযোগ করতে বলবো আর যদি জিডি করার মত হয় তাহলে আমরা তাকে জিডি করতে বলবো।
আর কোন অফিসার কোন অভিযোগের বা জিডি তদন্ত করার দায়িত্ব পাবে কিংবা কাকে দায়িত্ব দেয়া হবে সেটি ডিউটি অফিসার নির্ধারণ করে।এটি কোন রাইটার নির্ধারণ করতে পারেনা। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply