1. ssexpressit@gmail.com : admin :
  2. dailynatundiganto@gmail.com : Homayon Kabir : Homayon Kabir
সর্বশেষ :
পাইকগাছায় জলমহালে হামলা মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা ডাবলুর ভাই কারাগারে রাণীনগর প্রবাসীকে পিটিয়ে যুবদল নেতার ২ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবী জানিয়ে আশুলিয়ায় সমাবেশ আইএফআইসি ব্যাংক বসুন্ধরা শাখার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ আশুলিয়ায় চাঁদা না পেয়ে চা দোকানীকে গুলি, গ্রেপ্তার -০৩ আত্রাই আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তারুণ্য উৎসব কর্মশালা পালন করলো ”ইউএনও” চাঁদা না দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে গুলি করলেন যুবলীগ নেতা সাভার সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স সহ দুটি বাসে আগুন নিহত-০৪ কক্সবাজারে নিখোঁজের পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার জাবিতে লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

সাভারে জাল টাকার কারখানার সন্ধান; ৫০ লাখ টাকার জাল নোট ও মাদক উদ্ধার

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

সাভার প্রতিনিধি : অনেকটা নিজের ফাঁদে নিজেই ধরা পরল জালটাকা সিন্ডিকেটের তিন সদস্য। জাল নোট নিয়ে লিচু কিনতে গিয়ে লিচু বিক্রেতাদের হাতে ধরা খাওয়ার পর পুলিশে দিলে বেরিয়ে আসে দলের বিড়াল। জানা যায় ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তায় গড়ে তুলেন জাল টাকার কারখানা। নিয়মিত ছাপা হতো জাল নোট। সুযোগ বুঝে ছড়িয়ে দেওয়া হতো বাজারে।
ঢাকার অদূরে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে এমনই এক অভিনব জাল টাকা কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। পরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট, বিপুল পরিমান জালটাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, এক বোতল বিদেশি মদ, এক ক্যান বিয়ার ও ১০০পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১১ টা থেকে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের সাধাপুরের পুরান বাড়ি এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে সাখাওয়াত হোসেন খানের মালিকানাধীন সাউথ বেঙ্গল এপারেলস গার্মেন্টস কারখানায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশের চৌকস টিমের অভিযানে আটক হয় বরিশাল জেলার মুলাদী থানার ডিগ্রীরচর খান বাড়ির জয়নাল আবেদীন খানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), শরিয়তপুর জেলার পালং থানার গয়াধর গ্রামের আল ইসলাম সরদারের ছেলে সুজন মিয়া (৩০) ও বরিশাল জেলার মুলাদী থানার বয়াতিকান্দি গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে নাজমুল হোসেন (২৪)।

তবে স্থানীয়দের দাবী তারা এ বিষয়ে কিছুই জানতেননা। তারা ভাবতেন এখনো সেখানে প্যান্ট শার্টই তৈরি করা হতো।

এ ব্যাপারে কারখানার পাশের বাড়ির মালিক ইব্রাহীম জানান, দীর্ঘ দিন থেকে এই এলাকায় পোশাক কারখানাটি পরিচালনা করছেন সাখাওয়াত হোসেন খান নামের ওই ব্যক্তি। পরে করোনা কালীন সময়ে গার্মেন্টস ব্যাবসায় লস খেয়ে কারখানাটির পাশের একটি জমিতে গরুর ফার্মের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিছুদিন পর সেটিও বাদ দিয়ে পুনরায় কারখানার ভেতর টুকটাক কাজ করছিলো বলে জানতাম। কিন্তু তিনি যে পোশাক কারখানার আড়ালে ভেতরে জাল টাকার তৈরি করতো সেটি আমাদের কল্পনাতেও ছিলোনা। আজ সকালে পুলিশের অভিযানের ফলে বিষয়টি জানতে পারলাম।

এদিকে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন খান জানান দীর্ঘদিন পূর্বে তিনি এখানে কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন পরবর্তীতে করোনার সময় তার বেশকিছু অর্ডার বায়াররা ক্যান্সেল করে দেয় এতে তিনি বেশ বেকায়দায় পরে এবং ব্যাংকের নিকট ৫/৭ কোটি টাকার মতো ঋণের বোঝায় পরে । গত চারমাস পূর্বে সাইফুল নামের এক সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এবং আহসান উল্লাহ মন্ডল ও নুরুনবী নামে আরো দুজন তাকে এই জাল টাকা বানানোর জন্য প্রস্তাব দেয়। তারাই তাকে এই জাল টাকা প্রস্তুতির সকল সরঞ্জামও সরবারাহ করতো।

অভিযান শেষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম-বার বলেন, আজ সকালে সাভারের অন্ধ মার্কেটের সামনে থেকে জাল টাকা দিয়ে লিচু কিনতে গেলে দোকানদারসহ স্থানীয়রা জাল নোট শানাক্ত করে ও একজনকে আটক করে সাভার থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানাপুলিশ আটক ব্যক্তিকে নিয়ে সাভারের বনগাঁও এর সাধাপুর পুরানবাড়ি এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ৫০ লাখ ১৭ হাজার নকল টাকা ও প্রিন্ট অবস্থায় আরও বিপুল পরিমাণের জাল টাকার সন্ধান পায়। পরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে কারখানার সব জাল টাকা উদ্ধার করে তিনজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গার্মেন্টসটির অভ্যান্তরে সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের সহায়তায় জাল নোট তৈরির কারখানা গড়ে তোলে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর হাটে এই জাল নোট ব্যবহার করে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। তাদেরকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

অভিযানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম এন্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর) আব্দুল্লাহিল কাফী- পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ও বনগাঁও ইউনিয়নের ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোখলেসুর রহমানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

উল্লেখ্য আটককৃতদের বিরুদ্ধে, সাভার মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জাল নোটের বিশাল এই সাম্রাজ্য জনসম্মুখে আশায় স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে নানামুখী প্রতিক্রিয়া। সফল অভিযানের মাধ্যমে জাল নোট সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসায় সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা সহ পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :