মোঃ সোহেল রানা (নওগাঁ) জেলা প্রতিনিধি:নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের “পাইকড়া বড়াইকুড়ি কলেজ”এর অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়া অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শ্রী বরুণ কুমার এর যোগসাজশে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বেশ কয়েকটি নিয়োগ দিয়েছেন। এবং হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তার ই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে সর্বশেষ ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ পেয়েছেন মোঃ আতিকুর রহমান।
অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ল্যাব অপারেটর মোঃ আতিকুর রহমান এর চাচা মোঃ জিয়াউর রহমান সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০২০ সালে অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়া ০৩ দফায় সর্বমোট ১৮ লক্ষ টাকা আমাদের কাছ থেকে নেয়। এবং আমার ভাতিজা কে ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ দেয় এবং জুলাই ২০২৪ এ এমপিও ভুক্তি হয়। সরেজমিনে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়া ও তার আপন ভাই আইসিটি প্রভাষক মোঃ আমিনুল হক কে প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, তারা দুজন প্রায়ই ছুটি ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে বেরিয়ে আসে, আইসিটি প্রভাষক মোঃ আমিনুল হক এর আইসিটি নিবন্ধন সনদ ভুয়া। একাধিকবার অধিদপ্তর এর তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে মোঃ আমিনুল হক এর বেতন ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে মোঃ আমিনুল হক এখনো বহাল তবিয়তে কর্মরত আছেন। নিয়োগ বাণিজ্য এবং অধ্যক্ষের আপন ভাই ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরিতে কর্মরত আছেন বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হোক। নইলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য পাঠাবো কিনা ভাবতে হবে।
যেখানে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতি দুর্নীতিবাজ সেখানে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দ্বিধান্বিত। অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়া, সভাপতি শ্রী বরুণ কুমার ও অধ্যক্ষের আপন ভাই ভুয়া আইসিটি প্রভাষক মোঃ আমিনুল হক এর অপসারণ ও বিভাগীয় শাস্তি এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply