নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিয়াকৈর উপজেলার নিকটস্থ ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই (কালিয়াকৈর আন্ডারপাস) গড়ে ওঠা ঘোরা হোটেলের বিরুদ্ধে এখানে খেতে আসা লোকজনদের অভিযোগের যেনো কোনো শেষ নেই।গতকাল একজন গণমাধ্যম কর্মী এই হোটেলে খেতে এসে তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন কালিয়াকৈর (Kaliakoir Public Group) আঞ্চলিক একটি ফেসবুক গ্রুপে।
তিনি লিখেন-“কালিয়াকৈর আন্ডারপাস সংলগ্ন ঘরোয়া হোটেল যেনো নব্য কসাই খানা,জনস্বার্থে প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষার্থী ভাই বোনদের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।আপনারা অতিদ্রুত ঘোরায়া হোটেল কর্তৃপক্ষের লাগাম টেনে ধরুন।এরা বর্তমান সময়ের নব্য কসাই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।অন্য আরও রেস্তোরাঁর চেয়ে এখানে এরা সকল জিনিসপত্রের অধিক দাম রাখে যা সাধারণ মানুষদের সাধ্যের বাহিরে,এরা ব্যবসার আড়ালে মানুষদের কাছ থেকে জিম্মি করে প্রতিদিন টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) আমার বাইক-Mt15 সার্ভিসিং করার জন্য আশুলিয়া থেকে কালিয়াকৈর ইয়াহামা মোটরসাইকেল শোরুমে গিয়েছিলাম।বাসায় লান্স করা হয়নি এজন্য বেলা ৪ টার সময় ঘরোয়া হোটেল তথা রেস্তোরাঁয় লান্স করতে যাই আমিও আমার সহকর্মী।
সবকিছু দাম ঠিকিই ছিলো।কিন্তু গরুর কালা ভুনা ও দই ছিলো মানহীন আর দাম ছিলো আকাশ ছোঁয়া লাগামহীন যা অন্য যেকোন জায়গার চেয়ে বলতে গেলে দ্বিগুন।ছোট কাপ দই এর দাম তারা নেয় ৮০ টাকা যা বাহিরে অন্য কোনো ভালো হোটেলে সর্বোচ্চ ৪০/৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা।গরুর কালা ভুনা ৫/৬ পিচ (ছোট সাইজ)তারা দাম নিয়েছে ২৮০ টাকা যা বাংলাদেশের কোথাও নেই বললেই চলে।
এমন মফস্বল এবং শিল্প এলাকায় তাদের এমন দাম কতটা যৌক্তিক? এই এলাকায় নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের সংখ্যা বেশি।তাদের এমন গলাকাটা বানিজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি স্থানীয় প্রশাসনের নিকট।”
গ্রুপে পোস্টটি চোঁখে পড়ার পর আমরা ভুক্তভোগী সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করি।তিনি জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন “নেক্সাস” এর সাভার উপজেলা প্রতিনিধি।তিনি তার বাইক সার্ভিসি করতে এসে এমন বাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের খাবার ছিলো মানহীন একদম বাজে যা ফুটপাতের যেকোন খাবারের দোকান তথা হোটেলের চেয়ে নিম্ন মানের।তাদের এমন নৈরাজ্য রুখতে তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সচেতন মানুষ এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গ্রুপে তার পোস্টে অনেকেই এখানে (ঘরোয়া হোটেল) খাবার এসে প্রতারিত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেম। করেন।সেই সাথে তাদের এমন নৈরাজ্য রুখতে সকলেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply