মো. আসিফ খাঁন, স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর জেলার কাশিমপুর মেট্রো থানাধাীন চক্রবর্তীরটেক এলাকায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে জমি দখলে আসা হামলাকারিদের আঘাতে হাফিজুল আসাদসহ (৪০) ৪-৫ জন রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজন গণমাধ্যম কর্মীও রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মো. হাফিজুল আসাদ গাজীপুরের কাশিমপুরের চক্রবর্তীরটেক এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (৩৩) বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- গাজীপুরের কাশিমপুর থানার চক্রবর্তীরটেক এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মো. বাবুল (৩৬), মো. আবুল (৬০), মো. বিল্লাল হোসেনসহ (৪৫) অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জন। অভিযোগকারী তানিয়া আক্তার (৩৩) একই এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চক্রবর্তীরটেক এলাকায় ভি-কমপুর মৌজার সিএস খতিয়ান নং-১০, এসএ খতিয়ান নং-১৮, আরএস খতিয়ান নং-২১, সিএস ও এসএ দাগ নং-১৭, আরএস দাগ নং-৪১ মোট জমি ৭৪ শতাংশ ইহার কাতে ১৫.২৫ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে দোকান করে ভাড়া দিয়ে আসছেন অভিযোগকারীর স্বামী হাফিজুল আসাদ। তবে অভিযুক্তরা ওই জমিসহ মার্কেট দখলের চেষ্টা করছে। এরই জেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১০টার দিকে অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রসহ জমিতে এসে সাতটি দোকান ভাংচুর করে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানাযায়, এরপর আবারও আজ মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে অভিযুক্ত সাইফুল সহ ১৫-২০ জন জমিতে এসে সেখানে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেয়। তারা ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে রাজি না হওয়ায় তারা অভিযোগকারীর স্বামী হাফিজুল আসাদকে এলোপাথাড়ি মারধর করে নীলা ফুলা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। এছাড়া অভিযুক্ত মো. সাইফুল ইসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাফিজুল আসাদের মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বাসরোধ করে ওই অভিযুক্ত। আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও কয়েকজনকে তারা মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে দৈনিক নতুন দিগন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসিফ খাঁন ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়।হামলার শিকার আহত সংবাদকর্মী বলেন,জমি দখল ও মারপিট হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ধারণ করতে থাকি। ভিডিও ধারণের একপর্যায়ে এলোপাথাড়ি মারধরের শিকার হই। ভূমিধস্যু সাইফুল ইসলাম প্রথমে আমাকে ভিডিও করতে নিষেধ করেন। তারপরও আমি ভিডিও করায় সে আমার ক্যামেরা, মোবাইল ফোন,ক্যামেরার স্ট্যান,মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমি বাঁধা প্রদান করলে আমার হাতে লোহার পাইপ দিয়ে সজোরে আঘাত করে তখন আমি মাটিতে পড়ি।মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সাথে সাথে তার সাঙ্গোপাঙ্গরাসহ সে আমাকে বেধড়ক মারধর করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমায় উদ্ধার করে গাজীপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা নিই।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় আহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযোগ করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি আমার অফিসার ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply