মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:গাজীপুরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সূত্রে জানাযায় গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর রাত্রি ১০ ঘটিকায় ৯৯৯ থেকে আসা ফোনের সূত্র ধরে ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় এএসআই ফরিদ সঙ্গীয় ফোর্স
নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার চা- বাগান এলাকা থেকে
মোঃ জাহিদুল ইসলাম সেতু (২৪) নামের এক যুবকে নিজ বাড়ী থেকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য প্রথমে এসআই ফরিদ এর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।সেই সাথে বিস্তারিত জানার জন্য ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলার পরমর্শ দেন।তার পরমর্শ অনুযায়ী শহিদুল ইসলামের সরকারী মুঠোফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে এবং আটকের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমাদের কাছে ৯৯৯ এর একটি কল আসে,অপরপ্রান্ত থেকে একটি মহিলা বলেন আমাকে মারধোর করে আটকিয়ে রেখেছে আপনারা আমায় উদ্ধার করেন।
এমন সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে আমি সেখানে ফোর্স পাঠায় এবং মহিলা (আশুলিয়া থানা আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছাঃ নার্গিস আক্তার জোহানা)কে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি।সেই সাথে অভিযুক্ত সেতুকে নামের যুবকে আটক করে সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য থানায় নিয়ে আসি।সত্য মিথ্যা যাচাই-বাছাই করা হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি অপরপ্রান্ত থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আশুলিয়া থানা আওয়ামিলীগের আলোচিত মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছাঃ নার্গিস আক্তার সোহানা ভুক্তভোগী সেতুর বাবার সাথে প্রতারণার মাধ্যমে জুন মাসে ০৭ তম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন।এই মহিলার পূর্বে ব্ল্যাকমেইল করে আরও ৬টি বিবাহ করেছিলো পর্যক্রমে মোটা অংকের দেনমোহর হাতিয়ে নিয়ে তাদের ডিভোর্স দিয়েছে।সর্বশেষ ৭তম বার নিজের শিকার হিসাবে ব্ল্যাকমেইল করে সেতুর বাবা মোঃ আলাল মেম্বার (৫৫) বিবাহ করে ১৮ লক্ষ টাকা দেনমোহর বেঁধে।
এই ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আবারও পূর্বের মত ছিটকে পড়ার পাঁয়তারা করছে পাপিয়া খ্যাত নার্গিস।ভুক্তভোগী আলাল মেম্বার বলেন, আমি ঘরসংসার করতে চাইলে ও নার্গিস তা করতে নারাজ।
তার নাটকের অংশ বিশেষ হিসাবে সেতুর বাবা আলাল মেম্বারকে ফাঁদে ফেলতে গতকাল ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশ দিয়ে আটক করিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন নার্গিস।এতে তিনি পুলিশদের সাথে কৌশলে চুক্তি করে গতকাল রাতে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।গতকাল রাতে পুলিশ ও নার্গিসের কথা মত দুই লক্ষ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সারারাত পুলিশ ফাঁড়িতে জিম্মি করে রাখা হয় সেতুকে।
পরবর্তীতে আজ আনুমানিক দুপুর ২ টায় (২৩ সেপ্টেম্বর) ১ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে নজরুল মেম্বারের মাধ্যমে ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের হাতে দেওয়া হলে আটক সেতুকে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি দেন।দফায় দফায় ফাঁড়ি ইনচার্জের টাকার রফাদফা করার সত্যতা মিলেছে ভুক্তভোগীদের একাধিক কথোপকথনে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মৌচাক ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি টাকা (মুক্তিপণ) নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।পরবর্তীতে এসআই ফরিদ এর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
Leave a Reply