বিশেষ প্রতিনিধি: সাভারের বিরুলিয়ায় বিনিয়োকারী ফিলিস্তিনি দম্পতির জমি দখল ও ৫০ লাখ টাকা চাদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১২ জনকে আসামি করে সাভার থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি নাগরিক ভুক্তভোগী সামির এম এল হাদীদ ও তাসলিমা আহমেদ দম্পত্তির অভিযোগ সাভারের বিরুলিয়ায় গতো কয়েক দিন আগে তাদের প্রায় বছর খানেক আগে ক্রয়কৃত জমিতে স্হাপনা নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী ওয়ারিশ সূত্রে তাদের ক্রয়কৃত জমির মালিকানা দাবি করে এবং ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি দাবি করে এবং রড,বালি,ইটা সহ নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় এবং জমিতে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের উপর ৪০-৫০ জনের একটি বহর নিয়ে চড়াও হয়। দাবিকৃত চাঁদার অর্থ না দিলে জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবেনা বলে হুমকি দেন। ১৯৮৮ সালের পর থেকে অত্র জমির তিনবার মালিকানা পরিবর্তন হয়। চার নাম্বার ক্রেতা হিসেবে সাইদুর রহমানের কাছ থেকে ৮ শাতাংশ কামরুজ্জামান গং এর কাছ থেকে ১৩,সদাগর এর কাছ থেকে ৭ শতাংশ সর্বমোট ২৮ শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক হন ফিলিস্তিনি দম্পতি।
এতো বছর কোন সমস্যা না থাকলেও এখন অর্থের লোভে একটি চক্রের যোগসাজশে এহেন হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ এ দম্পত্তির।
সবিস্তারে আলাপকালে তাসলিমা আহমেদ প্রতিবেদককে বলেন জমিটি আইএফআইসি ব্যাংকে মর্গেজ দেয়া রয়েছে। এসব ঝামেলার খবরে আমরা খুব চাপের মধ্যে রয়েছি। আমার বিদেশি স্বামীর কাছেও আমি ছোট হয়েছি। আমার দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সে আমার ভরসা ও বিশ্বাসে এ দেশে ব্যবসা করতে এসেছে। এসব ঘটনার জেরে যদি আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে আমার মরন ছাড়া উপায় থাকবেনা। যারা একজন বিদেশীর সাথে আচরণ করে দেশের সম্মান নষ্ট করছে কোনরকম কালক্ষেপণ ছাড়াই তাদের বিচারের আওতায় এনে দেশের সম্মান ও আমার ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তার এ বিপদে আইনি সহযোগিতা নিশ্চিত হওয়ায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ সরদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি,ওসি সাভার কাজী মাঈনুল ইসলাম এস আই কুদ্দুস, এস আই সজল সহ এই মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সামির এম এল হাদীদ এ ঘটনায় তার নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান এবং সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন। ফিলিস্তিনি এ নাগরিক প্রতিবেদককে হতাশা প্রকাশ করে বলেন হসপিটাল, ইসলামি ইউনিভার্সিটি ও মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মানের অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে আমি জায়গাটি খরিদ করি কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদের এমন আচরণ আমার স্বপ্ন ভেঙ্গেছে। আমার গায়ে হাত দিয়েছে। আমি মর্মাহত। এমন সন্ত্রাসী আচরণের বিচার না পেলে হয়তো এ দেশ ত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। তবে এ দেশের সরকার ও আইনের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ সময় তিনি পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকারও প্রসংশা করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply