সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি,
আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়িসহ দুই ব্যক্তির ওপর হামলার পর এক জনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রাজু আহমেদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন। এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোর রাতে আশুলিয়ার গৌরীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রাজু আহমেদ (৪২) আশুলিয়ার গৌরীপুর এলাকার শহিদুল ইসলামরে ছেলে। তিনি নিজেকে কখনও শিল্পপতি কখনও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন শ্রমিকলীগ নেতা, কখনও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কখনও আ.লীগ নেতা হিসাবে নিজেকে দাবি করেন। এর আগেও রতন নামের একজনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে এই রাজু আহমেদ।
ভুক্তভোগীরা হলেন- আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকার বাসিন্ধা আসাদ ও ফরিদপুরের ঝিলটলি এলাকার বাসিন্দা তুষার। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে আসাদকে তুলে নিয়ে যায় রাজু আহমেদ ও তার সহযোগীরা। এসময় ভুক্তভোগীদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে রাজু বাহিনী।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসাদ নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে রাজু বাহিনী। এসময় তাদের একটি মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এসময় ব্যবসায়িক সংক্রান্ত কাজে ফরিদপুর থেকে আসাদের কাছে আসা তুষার নামের এক জনকেও মারধর করে তারা। পরে তারা থানায় বিষয়টি জানালে ভোর রাতে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হামলার শিকার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তুষারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাসাইদ বাজার এলাকায় আসাদের সাথে দেখা করতে যান তিনি। তিনি ব্যবসায়িক সম্পর্কের জেরে ফরিদপুর থেকে আসাদের সাথে ওই এলাকায় দেখা করতে আসেন। এসময় রাজু তার সহযোগীদের নিয়ে হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালায়। তুষার বলেন, এসময় আমাদের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে আসাদকে তুলে নিয়ে যায়। আগে কখনও রাজু আহমেদকে আমি দেখিনি।
আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এক যুবককে মারধর করে তুলে নেওয়ার অভিযোগে রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজুর বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। যাদের সাথে তার সেল্ফি আছে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করুন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের আশুলিয়া থানা কমিটির কোথাও কোন পদে নেই রাজু। তবে শুনেছি সে নিজেকে একেক সময় একেক কমিটির পদধারী পরিচয় দিতো এবং স্থানীয় কিছু নেতাদের সাথে ছবি তুলে সেসব ছবি ব্যাবহার করতো।
Leave a Reply