মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম, বিশেষ প্রতিনিধি :শিল্পাঞ্চল সাভার ইয়াবাসহ যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ।সোমবার (১৩ মে) বিকেলে সাভারের খনিজনগর এলাকা থেকে নারী, ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ বিরুলিয়া ইউপি যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদকে আটক করে ডিবি।অভিযানের সময় এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে বেশ পরিচিত যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের এক সহকারীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব ”দৈনিক নতুন দিগন্ত”কে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই শুভ মণ্ডল,এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন ও এএসআই মেহেদী হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাভার উপজেলাধীন বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ (৩৮) ও মাদক সম্রাজ্ঞী মোসা. পপি আক্তার (২৮)কে আটক করে।
ডিবি পুলিশ জানায়, আসামীদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে সাভারের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রয় করত।উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় ১টি মাদক মামলা রেকর্ড করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।মাদকসম্রাজ্ঞী পপি আক্তার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার বড় মেয়ে আর মো. আব্দুল হামিদ বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের আব্দুল ওহাবের বড় ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ একজন নারী দেহ ব্যবসায়ীকে নিয়ে অবৈধ কাজ করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় বাইরে থেকে নারী ভাড়া করে এনে এলাকায় অনৈতিক কাজ করেন। প্রায় সময়ই মদের ও ইয়াবার আসর বসান তিনি। হামিদ প্রভাবশালী হওয়ায় তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলার সাহস পায় না। হামিদ গ্রেপ্তার স্থানীয়দের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।এসময় তারা ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানায়।
এ ছাড়াও আব্দুল হামিদ এর আগেও র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে এসে একই রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের গ্রেপ্তার ও তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিএস মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। বিস্তারিত আমি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাব। সে যদি আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠনের পরিপন্থি কোনো রকম কার্যক্রম করে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply