মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ০৬নং মনিয়ারী ইউপির নিকটস্থ মনিয়ারী গ্রামে মেয়ে দিয়ে কৌশলে একটি ছেলে ও তার পরিবারকে ফাঁসিয়ে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এই নেক্কার জনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে স্থানীয় বিএনপির ও আ.লীগের কিছু নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে,যা বর্তমানে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
খোঁজা নিয়ে জানাযায়,গাইবান্ধা জেলার শ্রীমতি মনিকা (২২) পিতা শ্রীঃ অনিল কুমার, সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে,আত্রাই উপজেলার ০৬ নং মনিয়ারী ইউনিয়নের শ্রীঃ ষষ্টি নাথ (২৪),পিতা শ্রীঃ ওমোনাথ ,সাং মনিয়ারী,আত্রাই, নওগাঁ, সাথে।
অনুসন্ধানে আরও জানাযায়,পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্রীঃ ষষ্ঠী নাথ কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গাইবান্ধার মনিকা নামের বিবাহিত এক মহিলার মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মনিয়ারী ইউনিয়নের আনার,মোঃ মাহবুব (০৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক), জয়দেব, নিখিল, বিমান,মোঃ আনোয়ার (সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি বিএনপি), মোঃ বাদল (০৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক), ও নাঞ্জু।
বাদল, ষষ্ঠীর পিতা অমরনাথের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে, তাহলে মেয়েটাকে তারা বিদায় করে দিবে কোনো ঝামেলা হবে না এই মর্মে।তৎক্ষণিক অমরনাথ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরের দিন সকালেই মেয়েটিকে তারা অমরনাথের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং বিয়ের দাবিতে অনশন করতে বলেন।
পরবর্তীতে অমরনাথ লোকলজ্জার ভয়ে তাদের নগদ ৪০ হাজার টাকা দেয়।তারাও কথা মতো মেয়েটিকে অমর -নাথের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।সেই সাথে দুইদিন তারা মেয়েটিকে নিজেদের কাছে রাখেন।এরপর মেয়েটিকে ২০০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে থানা বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলা হলে, উনারা জানান আমরা ঘটনাটি শুনেছি। উক্ত ইউনিয়নের বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছেন।তবে ঘটনাটির সত্যতা প্রমাণিত হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।আমরা কখনোই এমন ব্যক্তিদের বিএনপির মতো আদর্শিক দলে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবো না।
বিষয়টি নিয়ে আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর সাথে কথা বলা হলে উনি বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।তবে কেউ যদি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply