মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:আজ (২৯ জুন),রোজ রোববার রাত্রি আনুমানিক ১:০০ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটেছে আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউপির নিকটস্থ নবাবের তাম্বুর গ্রামে।মৃত্যু ব্যক্তির নাম মো. নূর মোহাম্মদ (৭০),পিতা মৃত খয়ের আলী প্রামাণিক।তিনি পেশায় ছিলেন একজন (অবসর প্রাপ্ত) সরকারী চাকুরীজীবী ”আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল কলেজ” এর ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে।
উক্ত বিষয় নিয়ে উনার দ্বিতীয় ছেলে মোঃ মঞ্জু’র প্রামাণিক এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান,আমার বাবা সুস্থ ছিলেন।তবে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কিছুটা চুপচাপ থাকতেন।আজ সকালে হঠাৎ একজন আমায় এসে খবর দিল আমার বাবা আত্মহত্যা করেছে।আমি দ্রুত বাড়ীতে এসে দেখি আমার বাবার লাশ খাটের উপর শুয়ানো আছে।
কেন এ ঘটনা ঘটেছে বলে আপনার ধারণা?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমার বড় ভাই আজিজ,তার স্ত্রী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা মিলে আমার বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ জানালার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে আমার ধারণা।আর এর কারন তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে বাবাকে অনেক বার নির্যাতন করেছে।সেই সাথে তারা বাবার কাছ থেকে ২০১৯ সালে জমি জায়গা লিখে নেয়।আমরা আরও ভাই-বোন রয়েছি সবাইকে ফাঁকি দিয়ে এই কাজ করে।
এ বিষয়টি (জমি) নিয়ে আমার ”মা” প্রতিবাদ করায় বাবার ব্রেইন ওয়াশ করে আমার মা’কে ডিভোর্স দেওয়াই ২০২১ সালে।আমার ভাই পেশায় একজন সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষিক,তিনি বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ভোঁপাড়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসাবে।তিনি আরও বলেন, বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমার বড় ভাই পালাতক।
তারা কৌশলে মা বাবার বিচ্ছেদ ঘটালো এরপর আমাদের ও বাড়ী থেকে বের করে দিল।আমি এখন অন্য গ্রামে যেয়ে থাকি।আমরা কেউ আর এই বাড়ীতে ঢুকতে পারিনা।আমাদের সাজানো গোছানো সংসার তছনছ করে দিয়েছে আমার বড় ভাই আর ভাবি।একদিকে বাবার জায়গা জমি লিখে নিয়েছে,অন্য দিকে মাকে ডিভোর্স দেওয়াইছে।সবকিছু মিলে সুখের সংসারের দুঃখের আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিল।এদের মাঝে বাবাই ছিল আপদ তাই আজ পরিকল্পিত ভাবে বাবাকে হত্যা করলো,আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলা হলে তারাও জানায়, তার বড় ছেলে ও ছেলের বউ এই কাজ করছে বলে আমাদের ধারণা।লোকটিকে তারা কখনো শান্তিতে থাকতে দিত না।সব সময় তার সাথে এরা কুকুরের মত ব্যবহার করত।লোকটির সুখের সংসার ছিল,সেই সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে এই ছেলে আর তার বউ।পরিবারের সবাইকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে,পরিবারটি তছনছ করে দিয়েছে।মাঝে মাঝে তার বউ আর সে মিলে লোকটিকে মারধোর করত, নির্যাতন করত, ঠিক মত খাবার দিত না ইত্যাদি।
বিষয়টি নিয়ে আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল মান্নান এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মায়না তদন্তে পাঠিয়েছি।এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় ছেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আমরা তদন্তে সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply