মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম, বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা জেলার অদূরে শিল্পনগরী আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের নিকটস্থ ভাদাইল তালতলা এলাকায় পরকিয়া প্রেমিকের হাতে খুন হলো প্রেমিকা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রেমিকার নিথর দেহ তার নিজ সয়নকক্ষে পরে আছে।আর প্রেমিক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩০) কে আটক করে স্থানীয় জনতা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক প্রেমিককে আটক করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উপস্থিত জনতার তথ্য সূত্রে জানাযায়, হত্যার শিকার মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার (২২), স্বামী মোঃ মাসুদ রানা (৩৫),গ্রামের বাড়ী রংপুর জেলায়।তাদের ঘরে একটি ২ বছর ৬ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।জীবিকার তাগিদে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন।তারা ভাদাইল দক্ষিন পাড়া তালতলা এলাকার সোহাগ মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া।আরও জানাযায়, ঘাতক পরকিয়া প্রেমিক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩০) ও উক্ত বাড়ী ভাড়াটিয়ে (ব্যাচেলার)।
ঘাতক প্রেমিক শরিফুল ইসলাম বলেন,সে পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক।তারা দীর্ঘদিন যাবৎ একই বাসায় ভাড়া (ব্যাচেলার) থাকেন এই সুবাদে তাদের মাঝে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়।বেশ কিছুদিন যাবৎ তাদের সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েনের কারনে আজ তাকে ঘাতক নিজেই আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকায় চাকু দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
এ বিষয়ে উক্ত একজন বাসার ভাড়াটিয়া বলেন,তাদের (সুমাইয়া) রুম থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিলো।এমন সময় বাসার মালিকের স্ত্রী আমায় বলেন ভাবি দেখেন তো ওদের রুমে কি হয়েছে বাচ্চা খুব কান্নাকাটি করছে।তখন আমি রুমে প্রবেশ করতেই চাকু হাতে শরিফুল ভাই বের হয়ে আসে এবং আমাকে বলে ভাবি বাচ্চাকে একটু সামলান।আমি ওর মাকে জবাই করেছি।তার এ কথা শুনে আমি চিৎকার দিয়ে উঠি এরপর সবাই দ্রুত ছুটে এসে তাকে আটক করে।কিন্তু উনাদের মাঝে কি সম্পর্ক ছিল তা আমার জানা নেই।
Leave a Reply