নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর জেলার নিকটস্থ কাশিমপুর মেট্রো থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে আসছে দীর্ঘ দিন যাবৎ।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে ভূমিদস্যুের হামলার শিকার হয় দৈনিক নতুন দিগন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো.আসিফ খাঁন।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে এসে তিনি উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ও তা তিনি (ওসি) আমলে না নিয়ে না না টালবাহানা শুরু করেন।পরবর্তীতে বিভিন্ন চাপে গত ২৭ তারিখে অভিযোগ টি এজাহার করেন।তবে এজাহার করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ এরপর তিনি আর কোনো পদক্ষেপ নেননি আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে।আসামীরা প্রকাশ্যে থানায় তার আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন তথ্য বার বার ওসিকে দেওয়া হলেও তিনি আসামীদের গ্রেফতার করেননি।কিন্তু আসামী পক্ষের লোকজনদের সাথে দফায় দফায় তাকে মিটিং করতে দেখা গিয়েছে তার অফিস কক্ষে।
মামলার ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম (৪০) এর একটি সাদা রং এর প্রাইভেটকার যার রেজিষ্ট্রেশন নং (ঢাকা মেট্রো-গ ৪৩-৭১৪৮) থানার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে তার কয়েক ঘন্টা কয়েক দফায় ওসির সাথে মিটিং করেন যার ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. আসিফ বলেন,আমরা সংবাদকর্মী হয়ে ও ওসির কাছ থেকে তথা থানা পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছিনা তাহলে এই থানায় সেবা নিতে আসলে সাধারণ মানুষদের কতটা ভোগান্তির শিকার হইতে হয় প্রশ্ন এখানেই?আমি কখনো ওসির এমন দায়িত্বহীন আচারণ আশা করিনি।তিনি সব সময় আসামী পক্ষের লোকজনদের সাথে মিটিং করছেন দফায় দফায় যা অত্যান্ত দুঃখজনক।এই যদি হয় একজন ওসির আচার- আচরণ তাহলে আমরা বিচার চাইবো কোথায়? আর সাধারণ মানুষ যাবেই বা কোথায়?
বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংবাদকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দা’রা বলেন, তার (ওসি) যোগসাজশে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানার কর্তাবাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে এলাকায় অস্বস্তি ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
সেই সাথে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ।এমন অভিযোগ এই ওসির বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয় উনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আরও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর থানার অধীন এলাকায় বেশ কয়েকটি মামলার আসামী দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেন্টভুক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে থানার কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে, কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এ ধরনের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উঁড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, থানার পক্ষ থেকে সব সময়ই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোনো আসামীকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয় না। তবে তিনি আরও বলেন, অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা ওসির বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। তারা দাবি করেছেন, থানার কর্মকর্তাদের ভূমিকা স্পষ্ট করার জন্য উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত হওয়া উচিত। এছাড়া আসামীদের গ্রেফতারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ও দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় কাশিমপুর থানার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ ভুক্তভোগীরা।
Leave a Reply