1. ssexpressit@gmail.com : admin :
  2. dailynatundiganto@gmail.com : Homayon Kabir : Homayon Kabir
সর্বশেষ :
মানবাধিকার সংস্থা “ফিলাফ” এর আর্থিক অনুদান প্রদান আত্রাই মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘরে আটক দিনমজুর পরিবার, উল্টো আবার তাদের ওপর হামলা আহত-০১ সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল সাভার ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের বিক্ষোভ, বিচারের হুমকিতে উত্তপ্ত রাজপথ সাভারে যুবদলের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিতের দাবি ; তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের ঐক্যের আহ্বান জানান যুবল নেতা শহিদুল ইসলাম আশুলিয়ায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা যুবদলের লিফলেট বিতরণ আত্রাই কামাল এর নেতৃত্বে মহিলাদের নির্যাতন, মেডিকেলে ভর্তি-২ মসজিদের জমি বিক্রি করে হজ পালন, গাজীপুরে সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আশুলিয়ায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা যুবদলের লিফলেট বিতরণ  ধামরাইয়ে গ্রামবাসীর গণ অর্থায়নে ছাত্রদল নেতাকে সংবর্ধনা আশুলিয়ায় তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা যুবদলের লিফলেট বিতরণ 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বড় ভূমিকায় যুবদল নেতা শাওন সরকার

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

হুমায়ুন কবির,সাভার:
ঢাকার সাভারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঘটে যাওয়া পুলিশের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ছাত্রজনতা। আর সেখানে তাদের অন্তত ২০ হাজারের বেশি গুলতির মার্বেল সরবরাহ করেছিলেন যুবদলের নেতা ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন। সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে আসে সেই সময় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ও মার্বেল দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে । যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এ নেতার সেই সহযোগিতা সাভার এলাকার ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম বড় ভূমিকা রাখে বলে উল্লেখ করেন তারা।

ছাত্র আন্দোলনের দিনগুলোতে সাভারের থানা রোড, পাকিজা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নৃশংস হামলা করে পুলিশ ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা। তৈরি হয় লাশের সারি। এরমধ্যেই ছাত্রজনতা হাতের কাছে যা পান তা দিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কেউ অবস্থান নেন সড়ক বিভাজকের পাশে, কেউ কোনো ভবনের পাশে, কেউ বা টিন দিয়ে ঢাল বানিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। এভাবেই পুলিশের গুলি থেকে নিজেদের রক্ষা করেন। টিয়ারগ্যাস থেকে বাঁচতে কাগজ ও খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিয়ে ঝাঁঝালো ভাব থেকে রক্ষা পান। আবারও একইভাবে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেন। এরমধ্যে অন্যতম ছিল গুলতি দিয়ে প্রতিরোধ করা। সে সময় গুলতির হামলা পুলিশকে হয়রান করে তোলে। যুবলদ নেতা ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওনের ব্যতিক্রমি এই সহযোগিতা এখনো মনে রেখেছে সাভার উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ছাত্র-জনতা।

স্থানীয়রা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যুবদল নেতা ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন সাভার উপজেলায় আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশকে সৈরাচার মুক্ত করতে জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিস্টদের বিপক্ষে নিজে লড়েছেন এবং যারা এই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলো তাদেরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, খাদ্য সহায়তা,বিশেষ করে বিভীষিকাময় ওই মূহুর্ত গুলোতে তাৎক্ষণিক রুটি,কলা ও পানি সরবরাহ করে সহায়তার হাত বাড়িয়েছিলেন। এমনকি বিএনপি ও যুবদল, ছাত্র দলের অনেক আন্দোলনকারি নেতা কর্মীকে নিজের বাড়ি এবং আত্মীয় স্বজনের বাসায় রেখে থাকা খাওয়া ও নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেছেন।

সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম আবর্তন ও ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. হিমেল। অস্থির সেইসব দিনে ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

জাবি ছাত্র মো. হিমেল বলেন, আমরা ১৫ জুলাইয়ের পর যখন আন্দোলনে জড়াই, ১৬ জুলাই হল বন্ধ করা হয়, দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন আমাদের কিছু বন্ধু বান্ধব যারা ইসলামনগর ছিল। আমরা সেখানে ছিলাম। তখন শাওন ভাই খাবার দিয়েছে। আমি তাকে জানাই, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের লোক না। তবুও ভাই সহযোগিতা করে। ২০ জুলাই যখন ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে গিয়ে র‍্যাব-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তখন সবাই আতঙ্কিত হয়। আমিও আতঙ্কিত হই, তখন শাওন ভাইর সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমাকে তিনি থাকতে দেন।

তিনি বলেন, ওই সময় টানা এক কাপড়ে ছিলাম। তখন ভাই আমাকে জামাকাপড় কিনে দেন। থাকা খাওয়ার সব সুবিধা দেন। তার বাসায় আত্মগোপনে ছিলাম। ৪ আগস্ট জাবি যাই। পরে মার্চ টু ঢাকা যাই। আমার সামনেই শ্রাবণ গাজী, আজিফ মারা যায়। সাভারে প্রচন্ড গোলাগুলি চলে। তখন ভাইকে কল দেই। ভাইর থেকে শুনি হাসিনা চলে গেছে।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন ব্যতিক্রমী সহায়তা দেন উল্লেখ করে জুলাই আন্দোলনের এই কর্মী বলেন, আন্দোলনে পুলিশ যখন নৃশংসতা গড়ে তোলে, তখন আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ওই সময় ভাই আমাদের মার্বেল ও গুলতি কিনে দেয়। টুথ পেস্ট, মাস্ক ও লাইটার কিনে দেয় টিয়ারগ্যাস থেকে বাঁচার জন্য।

একই কথা জানালেন জুলাই আন্দোলনে সাভারের অন্যতম রক্তক্ষয়ী এলাকা সাভারের থানা রোড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাভার কলেজের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই এই আন্দোলনে অংশ নেই। সেই সময় ছাত্রদের একত্র করে মাঠে নামাতে ভূমিকা রাখেন ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন। আমাদের পানি, খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের অনেক সঙ্গী ইনজুরড হচ্ছিল, তাদের হাসপাতালে নেওয়া, সেখানে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি।

ওই সময় আমাদের সরাতে পুলিশ প্রচুর শক্তি প্রয়োগ করছিল। টানা গুলি করছিল, গ্যাস মারছিল। সেই সময় আমাদের মার্বেল ও গুলতি দেন ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন। সেই গুলতি দিয়েই আমরা সাভারে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। উলাইল থেকে গুলতি মারতে মারতে পুলিশকে থানা রোড নিয়ে আসি।

সাভারের তেঁতুলঝোরা ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকার বিএনপি পরিবার হিসেবে পরিচিত পরিবারের সন্তান ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন। তার চাচা হাজি জামাল উদ্দিন সরকার যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি থানা বিএনপির একবারের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৩ সাল থেকে টানা ১৯ বছর সভাপতি এবং ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ও যুবদলের নেতা ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমাদের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল। তার নির্যাতন, নিপীড়নে আমরা বছরের পর বছর ঘরে বাড়িতে আসতে পারিনি, থাকতে পারিনি। আমাদের নানভাবে হয়রানি করা হয়েছে। ২৪ এর জুলাই আন্দোলন আমাদের সেই ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নামক পাথর থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেয়। তাই আমরা সবাই যারযার জায়গা থেকে নিজের মতো ভূমিকা রাখি। আমি ছাত্র জনতার আন্দোলনে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখি। তাদের খাবার, পানি, চিকিৎসা সহায়তা করি। এছাড়া পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাস থেকে রক্ষা পেতে তাদের পেস্ট দেই। আর পুলিশের গুলি থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্র জনতাকে গুলতি ও মার্বেল সরবরাহ করি। এরপর দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়। এখন আবার দেশ গড়ার পালা।

তিনি বলেন, দেশ মাতা খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই আমরা। সেজন্য আমরা কাজ করছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ঘোষিত দেশ বদলের ৩১ দফা প্রচারে আমরা সবার মধ্যে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি মানুষের জন্য। আমরা সেই জন্যই কাজ করছি। জুলাই আন্দোলন সবার সমর্থন ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সফল হয়েছে। সেখানে আমি যে ভূমিকা রাখতে পেরেছি, তা আমার জন্য গর্বের। তবে সেই আন্দোলনে যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম, তা সফল করতে পারলেই দেশ ও জাতি বদলে যাবে। সেজন্য আবারও সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রেখে যেতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :