মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ট্রেনিং এর টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক ও সং¯িøষ্ঠ সুত্রে জানাগেছে, মুলাদী উপজেলা রিটোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন ২০১৯ সালে মুলাদীতে যোগদানের পর থেকেই দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে চালাচ্ছেন মুলাদী রিসোর্স সেন্টার। ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন বরিশাল থাকার সুবাদে সপ্তাহে ২-৩দিনের বেশি তাকে অফিসে দেখা যায়না। গত ৫ই আগষ্টের পূর্বে তার কাছে কোন তথ্য চাইতে গেলে তিনি বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের প্রভাভশালী নেতাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইতেন না। গত ০১-০৩-২০২৪ ইং তারিখ থেকে ০৬-০৩-২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত রিসোর্স সেন্টারে বাংলা বিষয়ে ট্রেনিং করানো হয়। এতে অংশ গ্রহনকারী শিক্ষকদের মধ্যে মুলাদী উপজেলার ৮১ নং পূর্ব নাজিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির অংশ গ্রহন করেন। ট্রেনিং শেষে সকল শিক্ষককে যখন ভাতা প্রদান করা হয় তখন সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন বলেন, আপনার বয়স বেশি হওয়ায় আপনাকে টাকা দেয়া হবে না। সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির তখন কেন তাকে প্রথম দিন বাদ দেয়া হলোনা, কেনইবা তার নামে বিল করে টাকা উত্তলন করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্সট্রাক্টর মনির বলেন, টাকা সরকারী ফান্ডে জমা দেয়া হবে। এ বিষয়ে ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেনের রকাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দিন আগের কথা আমার মনে নেই। এব্যাপারে মুলাদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমি বিষয়টি জানি, সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন, আমি ইন্সট্রার্ক্ট মনির হোসেনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, তিনি তখন বলেন, টাকা সরকারী ফান্ডে জমা দিয়ে দিব, আমি তখন বলেছি টাকা জমা দিলে আমাকে একটি ট্রেজারি চালানের কপি দিয়েন, কিন্তু তিনি সেটি দেননি। এছাড়াও ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ট্রেনিং এ আসা শিক্ষকদের নিন্ম মানের নাস্তা, দুপুরের খাবার পরিবেশন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর রিসোর্স সেন্টারের সামনের জাতীয় পতাকা উত্তলনের পাইপটি ভেঙ্গে গেলেও সেটিকে তিনি ঠিক না করে জাতীয় দিবস গুলোতে টানান না জাতীয় পতাকা। এবিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তাদেরকে বলা হতো বরিশালের সাবেক মেয়র সাদেক আব্দুল্লাহ আমার আত্মীয়। এছাড়াও ট্রেনিং এ শিক্ষকদের দেয়া হয় নিন্ম মানের ব্যাগ। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পিটিআই সুপার শিরিন সবনম বলেন, তার বরিুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি আমি বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply