মোঃ সোহেল রানা,জেলা (নওগাঁ)প্রতিনিধি:নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শ্রীধরগুড়নই দাখিল মাদ্রাসা যেন দুর্নীতির এক অভয়ারণ্য। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় চলছে অর্থ হরি লুটের মহোৎসব। শিক্ষার্থী অভিভাবকরা জানান, মাদ্রাসাটিতে ঠিকমতো পাঠদান হয় না। নামমাত্র ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন আগে ১৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দকৃত ৫০০০/- টাকা করে সরকারি অনুদান আসে। সেই টাকা শিক্ষার্থীদের না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম, ও সহকারি মৌলভী মোঃ আব্দুল জব্বার তালবাহানা করতে থাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করলে তার হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে ৪০০০ করে টাকা শিক্ষার্থীদের দেয় এবং অভিভাবকদের বলে কেউ জিজ্ঞেস করলে ৫০০০/টাকা পেয়েছি বলার জন্য। প্রতিষ্ঠানটিতে ফসলি জমি ও তিনটি বড় আকারের পুকুর রয়েছে যেখান থেকে প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা আসে। কিন্তু সেই টাকা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার না করে ম্যানেজিং কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার এর পকেটে চলে যায়। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানটির গাছপালা, ঘরের লোহা লক্কর ও চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকায় কৌশলে জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় ভাড়া করে শিক্ষার্থী এনে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়। সরে জমিনে তদন্তে গিয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম জন্ম:০১ জানুয়ারি ১৯৬৯ যোগদান: ০১ জানুয়ারি ১৯৮৪। সহকারী মৌলভী মোঃ আব্দুল জব্বার জন্ম: ০২ মার্চ ১৯৬৬ যোগদান:০১ ফেব্রুয়ারি১৯৮১। সহকারী মৌলভী এ এইচ এম খোশবর রহমান জন্ম: ২০ ডিসেম্বর ১৯৬৯ । যোগদান: ২৬ এপ্রিল ১৯৮৪। তদন্ত করে দেখা গেছে এই তিনজন ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সে চাকুরীতে যোগদান করে। এবং এরা ১১ থেকে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাস করে। এলাকার জনগণের প্রশ্ন কিভাবে কেউ ১২ বছরে দাখিল পাস এবং ১৪ বছর বয়সে চাকুরীতে যোগদান করতে পারে।
এলাকাবাসীর দাবি এই দুর্নীতিবাজদের জনসম্মুক্ষে হাজির করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক। শিক্ষার্থী অভিভাবকের দাবি প্রতিষ্ঠানটির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ খুবই দরকার। এদের লাগামহীন দুর্নীতি বন্ধ করা সময়ের দাবি।
Leave a Reply