1. ssexpressit@gmail.com : admin :
  2. dailynatundiganto@gmail.com : Homayon Kabir : Homayon Kabir
সর্বশেষ :
পাইকগাছায় জলমহালে হামলা মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা ডাবলুর ভাই কারাগারে রাণীনগর প্রবাসীকে পিটিয়ে যুবদল নেতার ২ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবী জানিয়ে আশুলিয়ায় সমাবেশ আইএফআইসি ব্যাংক বসুন্ধরা শাখার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ আশুলিয়ায় চাঁদা না পেয়ে চা দোকানীকে গুলি, গ্রেপ্তার -০৩ আত্রাই আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তারুণ্য উৎসব কর্মশালা পালন করলো ”ইউএনও” চাঁদা না দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে গুলি করলেন যুবলীগ নেতা সাভার সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স সহ দুটি বাসে আগুন নিহত-০৪ কক্সবাজারে নিখোঁজের পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার জাবিতে লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

আত্রাই দারোয়ান সবুজের কাছে জিম্মি মাদ্রাসা কমিটি, সুপার এর স্বেচ্ছাচারীতা

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

মোঃ সোহেল রানা,জেলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নে অবস্থিত শ্রীধরগুড় নই দাখিল মাদ্রাসা দুর্নীতির এক অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম এর স্বেচ্ছাচারীতায় প্রতিষ্ঠানটি হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই শফিকুল ইসলাম ইচ্ছামত অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদ্রাসায় দানকৃত তিনটি পুকুর ও ফসলি জমি থেকে প্রতি বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আসে। কিন্তু সেই টাকাগুলো ম্যানেজিং কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ শফিকুল ইসলামের পকেটে যায়।

শুধু তাই নয় তথ্য নিয়ে জানা যায় সরকারি অনুদানের টাকা ও সঠিকভাবে ব্যবহার না করে আত্মসাৎ করেন। মাদ্রাসাটিতে মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম সবুজ নামের এক যুবককে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এলাকাবাসী ও ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, যোগদান করার পর থেকে নিরাপত্তা কর্মী সবুজ তার দায়িত্ব পালন না করে ইচ্ছামতো চলাফেরা করে আসছে। তার ডিউটি প্রতিষ্ঠানটির গেট এ হলেও সে নিয়মিত কম্পিউটার রুমে বসে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ম্যানেজিং কমিটির শরণাপন্ন হলে কমিটির সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন সহ কমিটির সদস্যবৃন্দ ভারপ্রাপ্ত সুপার কে বিষয়টি জানায়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার শফিকুল ইসলাম কোন গুরুত্ব দেন না। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন পূর্বক মিটিং ডাকে। সেখানেও নিরাপত্তা কর্মী সবুজ ও ভারপ্রাপ্ত সুপার সবার সাথে বাজে আচরণ করে। এবং সবুজ বলতে থাকে আমার যা ইচ্ছা করব কারো ক্ষমতা থাকলে কিছু করেন। তারপর তো সুপারের নীরবতা প্রশ্নের জন্ম দেয়। নিরুপায় হয়ে ম্যানেজিং কমিটি সাবেক এমপি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল মহোদয়ের শরণাপন্ন হন। তাতেও বেপরোয়া সবুজ কে তার ডিউটিতে আনা সম্ভব হয়না। ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম, নিরাপত্তা কর্মী সবুজ এবং সভাপতিকে তলব করেন।সেই সাথে সবুজকে নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।

তাতেও কোন কাজ হয় না। বরং মাদকাসক্ত নিরাপত্তা কর্মী সবুজ সভাপতি কে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করে থাকে। এবং জোর গলায় বলতে থাকে, কেউ আমার কিছুই ছিঁড়তে পারবে না। সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তাকেও বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে। এলাকাবাসীর দাবি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মীর আচরণ যদি এমন হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানে আমাদের সন্তানদের পাঠাবো কিনা ভাবতে হবে।ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসীর আকুল আবেদন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিরাপত্তা কর্মী (দারোয়ান) সবুজ যেন তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :