নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ০৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের পতন হয় শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে ছাত্রজনতা সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।সেদিন বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠা ছাত্রজনতার বুকে নির্বিচারে গুলি করে তাদের হত্যা করে স্বৈরাচার হাসিনার ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আ.লীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকা সেদিন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়,ক্রমেই বাড়তে থাকে লাশের মিছিল। এক এক করে নির্বিচারে গুলি করে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় ৪৬ জনকে।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সহ বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে হত্যা – সহিংসতার অভিযোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে মামলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত(৮ সেপ্টেম্বর ২৪) আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪ (১) এবং ৪(২) ধারা অনুযায়ী গনহত্যা ও মানবতাবিরোধী মতো কাজে জড়িত থাকায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আশুলিয়া থানায় আর একটি হত্যা মামলা করা হয় মামলা নং(৭৩২)।
এ মামলায় আসামি করা হয় শেখ হাসিনা , ওবায়দুল কাদের সহ ৪০ জনকে।এই মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছে সাবের আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগ। এই সাবের আহমেদ সজীব শুধু ছাত্রলীগেই ক্ষান্ত নয়। তিনি অত্র এলাকায় কিশোরগ্যাং গডফাদার নামে পরিচিত। তার রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তার ও তার মায়ের নেতৃত্বে চলত চাঁদাবাজী, ছিনতাই, এবং ডিস ব্যবসা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজল এর মাতা মোসাঃ শাহিনা বেগম বাদী হয়ে উক্ত মামলাটি আদালত দায়ের করেন।।
আরও জানা যায় ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর পরই বিজয় উল্লাসের সময় ছাত্রজনতার উপর পুলিশের সাথে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গুলি চালায় সাবের আহমেদ সজীব।সজিব সহ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের পরিবার।
Leave a Reply