সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ায় গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে থানার লাশবাহী গাড়ি চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় প্রথমে মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার ওই গাড়ি চালক।
সোমবার (২ অক্টোবর) বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. জুয়েল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার বাইপাইলে পুরাতন আশুলিয়া থানার সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া থানার লাশবাহী গাড়িচালক মো. জুয়েল (৫২)কে পিটিয়ে আহত করেন স্থানীয় প্রভাবশালী শফিকুল্লাহ । এসময় জুয়েলের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
আহত মো. জুয়েল পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার মাহমুদকাঠি এলাকার মৃত মোফাজ্জল কমান্ডারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বসবাস করে আশুলিয়া থানার লাশবাহী গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. শফিকুল্লাহ আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় আহাদ আলী (টাইগার)’র ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পুরাতন আশুলিয়া থানা শফিকুল্লাহদের জমিতে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অপকর্ম করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রায় সময় মানুষজনকে মারধর করেন শফিকুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন। শফিকুল্লাহরা ক্ষমতাশালী হওয়ায় কেউ কখনো ন্যায্য বিচারও পায় না। এ কারণেই পুলিশের লাশবাহী গাড়ি চালককে দিনে দুপুরে মারার পরেও কোন বিচার হয় না।
ভুক্তভোগী জুয়েল বলেন, বিনা অপরাধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে মারধর করেছেন শফিকুল্লাহ। তাদের জমিতে আগে আশুলিয়া থানা ছিল এ কারণে আমি থানায় মামলা করতে চাইলেও মামলার নেয়নি পুলিশ। শুধু অভিযোগ নিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শফিকুল্লাহ গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply