1. ssexpressit@gmail.com : admin :
  2. dailynatundiganto@gmail.com : Homayon Kabir : Homayon Kabir
সর্বশেষ :
আশুলিয়ায় ক্যান্সার রোগীকে বাঁচাতে চ্যারিটি কনসার্ট জমে উঠেছে রাতোয়াল গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আত্রাই লটারির টাকা আত্মসাৎ করায় বিএনপির ৩ নেতাকর্মী শোকজ,প্রতারক পাপ্পু কোথায়? আত্রাই পৌষসংক্রান্তি মেলায় লটারির টিকিট বিক্রি করে “ড্র” না দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও বিএনপি নেতা রাণীনগর চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ইমরান বহিষ্কার পাইকগাছায় জলমহালে হামলা মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা ডাবলুর ভাই কারাগারে রাণীনগর প্রবাসীকে পিটিয়ে যুবদল নেতার ২ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবী জানিয়ে আশুলিয়ায় সমাবেশ আইএফআইসি ব্যাংক বসুন্ধরা শাখার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ আশুলিয়ায় চাঁদা না পেয়ে চা দোকানীকে গুলি, গ্রেপ্তার -০৩

সাভারে সংখ্যালঘুদের আস্থার ঠিকানা বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

সাভার প্রতিনিধি : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘুদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। দেশের কোথাও কোথাও আক্রান্তও হয়েছিলেন সংখ্যালঘুরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটেছে সাভারের চান্দুলিয়া ও ভাকুর্তা সহ সাভারের হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে। পাঁচ’,ই আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হয়। পত্রিকার পাতা আর টেলিভিশনের স্ক্রিনে এসব খবর দেখে যখন সাভারের হেমায়েতপুরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম চান্দুলিয়া ও ভাকুর্তা এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পরে ঠিক তখনই দেবদূতের মত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে গিয়ে অভয় দিয়েছেন এবং ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাভারের বিএনপি নেতা মোঃ মুরাদ হোসেন।

জানা যায় মোঃ মুরাদ হোসেন, তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় সহ সংখ্যালঘুদের ঘরে ঘরে গিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন এবং যেকোনো সমস্যা হলে তাকে জানানোর জন্য দিয়ে আসেন ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় একেকটা পাড়া মহল্লা পাহাড়া দেয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাভারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেন মুরাদ হোসেন। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাভারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন।

বিশেষ করে চান্দুলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো কাছে মুরাদ হোসেন সন্তান এবং কারো কাছে ভাই বা বন্ধু অথবা বিপদের দিনে সাথী হিসেবেই পরিচিত।

কথা হয় চান্দুলিয়া গ্রামের লক্ষ্মীরানের সাথে। মুরাদ হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে কালবেলাকে তিনি বলেন, মুরাদ হোসেন আমাদের কাছে দেবতা। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ব্যক্তিগত সহযোগিতায় আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে অনেকেই সুখে শান্তিতে আছি। কয়েকদিন আগেই সে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামীকে চাকরি দিয়েছে। অর্থের জন্য আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে পারছিলাম না। তখন দেবদূতের মত মুরাদ হোসেন আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। মুরাদ হোসেনের বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন তিনিও আমাদের সহযোগিতা করতেন। এখন তার বাবার অবর্তমানে মুরাদ হোসেন আমাদের নিরাপত্তা এবং যেকোনো বিষয়ে পাশে থাকেন।

প্রায় ৭০ বছর বয়সি শোভারানী দাস বলেন, মুরাদ আমাগো বাবা লাগে। মুরাদ আছে বইলাই আমরা শান্তিতে থাকবার পারি। আমগোরে কেউ জুলুম অত্যাচার করবার পারে না। যে কোন বিপদ আপদে মুরাদরে পাশে পাই। প্রত্যেক মাসে মুরাদ আমারে টেহাও দেয়।

অভি রানী দাস বলেন,মুরাদ আমাগো সব সময় সাহায্য করে। তার জন্য আমাগো এলাকায় বাইরের কোন মাস্তান সন্ত্রাসী আসতে পারে না। সে আমাগো বিপদে সবসময় পাশে থাকে। আমরা এই গ্রামে যে সকল হিন্দু পরিবার আছি বেশিরভাগই অসচ্ছল। আমাদের যেকোনো লোক বিপদে পড়লে কিংবা কেউ অসুস্থ হলে মুরাদ হোসেন টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে এবং চিকিৎসা করেন। হেয় আমাগো দেবতা।

কমল রানী দাস বলেন,আমরা এই এলাকায় খুব শান্তিতে আছি। মুরাদ হোসেনের বাবা বেঁচে থাকাকালীন আমাদের অনেক সাহায্য করত। এখন মুরাদ হোসেন করে।

শম্ভু চন্দ্র দাস বলেন,আমাদের এখানে হিন্দু মুসলিম কোন ভেদাভেদ নাই। আমরা সবাই একসাথে চলাফেরা করি। মুরাদ হোসেন সব সময় পাশে থেকে আমাদের আগলে রাখে। সে তার দল বল নিয়ে আমাদের পূজা পার্বণে এসে শরিক হয়। অর্থনৈতিক সহযোগিতাও করে। যে কোন বিপদে ডাকলেই আমরা তাকে পাই।

খোকন চন্দ্র দাস বলেন, এই এলাকায় আমরা অনেক শান্তিতে আছি অনেক ভালো আছি। যার সবটুকু অবদান মুরাদ হোসেনের। শুনেছি আমাদের হিন্দুরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু আমরা এখানে খুব ভালো আছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে সারাদেশের সব সংখ্যালঘু কিংবা হিন্দুদের চাইতে আমরা বেশ সুখে শান্তিতে আছি। আমরা এমন বাংলাদেশ’ই চাই।

প্রায় ৮০ বছর বয়সী কালীপ্রদদাস বলেন,আমাদের গ্রামে হিন্দু মুসলমান কোন ভেদাভেদ নাই। আমরা সবাই মানুষ। বিশেষ করে মুরাদ হোসেনের জন্যই আমাদের সম্প্রীতির বন্ধন অধিক জোরালো হয়েছে। মুরাদ হোসেন আমার বাজান লাগে। তার মত মানুষ প্রত্যেকটি এলাকায় অন্তত একজন থাকলে সেই এলাকায় শান্তির আর অভাব হবে না। মুরাদ হোসেন আমাদের এলাকার গর্ব।

চান্দুলিয়া বাসীর কাছে দেবতাখ্যাত বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন কালবেলাকে বলেন,দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, দোকানপাট-বাড়িঘর লুটপাট, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধ ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে কাজ করতে বিএনপি’র হাই কমান্ড থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোকেই কাজ করছি। এছাড়াও আমার বাড়ি হিন্দু অধ্যুষিত চান্দুলিয়া এলাকায় হওয়ায় হিন্দুদের সাথেই আমার ওঠাবসা বেশি। ছোটবেলা থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে আমার বেড়ে ওঠা। হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা পার্বণসহ সুখে দুঃখে তাদের সাথেই মিশে গেছি। আমার পরম সৌভাগ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী আমাকে কেউ সন্তান আবার কেউ ভাই,কেউ বন্ধু আবার কেউ আত্মার আত্মীয় হিসেবে গ্রহণ করেছে।

আমি মনে করি বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান— সবাই মিলে স্বাধীনতাযুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছে। সুতরাং এই দেশে আমাদের সবার সমান অধিকার। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান আমাদের পরিচয় নয়। আমাদের বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা মানুষ। সুতরাং আমি বেঁচে থাকতে শুধু আমার চান্দুলিয়া এলাকায় নয় দেশের কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর জুলুম অত্যাচার হলে আমি প্রতিবাদ করব। আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদাজিয়ার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে যাতে এদেশে একজন সংখ্যালঘুও নির্যাতিত না হয়। আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং দলীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে সাভারের তেতুলঝুঁড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সংখ্যালঘুদের বন্ধু হিসেবে পাশে রয়েছি এবং থাকবো। কারন আমি বিশ্বাস করি আমরা মানুষ এদেশ আমার আপনার সকলের। সুতরাং এদেশে আমার যতটুকু অধিকার ঠিক ততটুকু অধিকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মানুষের রয়েছে।

মোঃ মুরাদ হোসেন যোগ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং এদেশ বিনির্মাণে কোন বৈষম্য কিংবা সাম্প্রদায়িকতা নয়, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :