মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম, বিশেষ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পাইকড়া বড়াইকুড়ি কলেজ যেনো এখন হয়ে উঠেছে দুর্নীতির শ্রেষ্ঠ অভয়ারণ্য।খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উক্ত কলেজটিতে আইসিটি বিভাগে প্রভাষক হিসাবে মোঃ আমিনুল হক নামের একজন যোগদান করেন ১৭ই মে ২০০৪ সালে।
এরপর তিনি ভুয়া সনদে যোগদানের অভিযোগে অভিযুক্ত হন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় তদন্ত করা হয় এবং প্রমাণিত হয় মোঃ আমিনুল হকের আইসিটি সনদপত্র টি ভুয়া।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থেকে বেতন ফেরত ও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়া অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল হক এর আপন ভাই হওয়ার সুবাদে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য পূর্বক তিনি সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এমনকি কলেজ চলাকালীন সময় তাকে প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায় না। দিনের পর দিন বিনা ছুটিতে কলেজ না গিয়েও হাজিরা খাতায় প্রতিদিনের স্বাক্ষর করেন। শুধু তাই নয় উক্ত প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শ্রীঃ বরুণ কুমার সরকার এবং অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়া মিলে আমিনুল হক কে বিভিন্ন ভাবে একের পর এক সহযোগিতা করে আসছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সভাপতি শ্রীঃ বরুণ কুমার সরকার পেশায় একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি ০৯ জানুয়ারি ২০১১ হইতে বর্তমান সময় পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।যা সরকারি নীতিমালা বহির্ভূত। ম্যানেজিং কমিটি গঠন নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে একাধারে দুইবার পর্যন্ত সভাপতিত্ব করতে পারবেন।কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম কিবরিয়ার সহযোগিতায় তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ সভাপতি পদে বহাল আছেন।
উনার মুঠোফোনে কল দিয়ে উনাকে প্রশ্ন করা হয়;আপনি কিভাবে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন সভাপতি কত বার সভাপতি থাকতে পারে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে?এমন একাধিক প্রশ্ন করা হলে উনি প্রতিবেদকের কোন প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি।পরবর্তীতে কথা শেষ না করেই অপরপ্রান্ত থেকে কল কেটে দেন।এরপর বারবার কল দেওয়া হলেও উনি প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।
এখন জনমনে প্রশ্ন এবং এলাকাবাসীর দাবি একজন সভাপতি কি করে একটানা ১৪ বছর সভাপতিত্ব করেন? এলাকাবাসী ও অভিভাবক বৃন্দের দাবি এই প্রতিষ্ঠানটির ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ ও আইন বহির্ভূত সভাপতিসহ সকল দুর্নীতি নির্মূল করে সুন্দর সুশৃংখল একটি প্রতিষ্ঠান উপহার দেয়ার।তাদের লাগামহীন দুর্নীতির কাছে দিশেহারা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
Leave a Reply