মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল উদ্দিনের একান্ত সহযোগিতায় চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট দিয়ে চলাচল করার জন্য ধান ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দিতে হয় এলাকার নির্দিষ্ট কিছু চাঁদাবাজদের।এ বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।ব্যবসায়ীররা বলেন,আমরা গ্রামে গ্রামে যেয়ে ধান কিনলে ও আমাদের কাছ থেকে খাজনার নাম করো চাঁদা নেয় কতিপয় কিছু ব্যক্তি যা অত্যন্ত কষ্ট দায়ক বিষয়।আর এর কারনে কৃষকদের কাছ থেকে আমরা নায্য দামে ধান সহ কোনো ফসলই কিনতে পারিনা।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার কৃষক সহ সচেতন মহলের ব্যক্তিরা বলেন,চাঁদাবাজদের কারণে আমরা ধান সহ কোনো ফসলেরই নায্য দাম পাই না।আমরা রোদে পুড়ে ফসল ফলিয়ে ও নায্য দামে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারিনা চাঁদাবাজদের কারনে আর এতে আমরা হচ্ছি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।আমরা অতিদ্রুত এগুলো সমাধান চাই।
তারা আরও বলেন,এগুলোর নেপথ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।উনি চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারেন কিন্তু উনি করেন না।
এলাকাবাসী ও বয়বসায়ীরা আরও বলেন,একটি গোষ্ঠী হাটঘাট ডেকে নিয়েছে সরকারের কাছ থেকে এমন দোহায় দিয়ে হাটের নির্দিষ্ট এলাকার বাহিরে যেয়ে ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে।
এসব চাঁদাবাজির সাথে জড়িত আত্রাই উপজেলার ০৫ আগস্ট পরবর্তী জন্ম নেওয়া ভূয়া সমন্বয়ন ও ভূয়া ছাত্র প্রতিনিধিরা।অনুসন্ধানে আরও চঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে,এসব ভুয়া সমন্বয়কদের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল উদ্দিন।তার নেতৃত্বে এবং তার ডাকে উপজেলার বিভিন্ন সভা- সেমিনারি অংশগ্রহণ করে তারা।এ নিয়ে জনমনে নানা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কাশিয়াবাড়ী হাট সহ বিভিন্ন হাটে অবৈধ ভাবে খাজনা আদায় সহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাজার থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজি করে নির্বাহী অফিসারের দেওয়া অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকে এসব ভূয়া সমন্বয়করা।
হাটের নির্দিষ্ট এলাকা ব্যাতিত এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ঘাট ও গ্রামে গ্রামে যেয়ে খাজনার আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করা কতটা যৌক্তিক?এসব এই প্রশ্ন অর্থ ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে করা হলে তিনি বলেন,হাটের নির্দিষ্টি এলাকা ব্যাতিত খাজনা আদায় করার কোনো নিয়ম নাই।সরকার হাট ডেকে দেয় টেন্ডারের মাধ্যমে, রাস্তাঘাট ডেকে দেয় না। যারা হাট ডেকে নিবে তারা শুধু হাট বারে হাটের নির্দিষ্ট এলাকায় সরকারী নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায় করতে পারবে।কিন্তু এর বাহিরে যেয়ে কেউ যদি খাজনা আদায়ের নামে চাঁদাবাজ করে সেটি অপরাধ মূলক কাজ।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলে ও তিনি রিসিভ করেননি।সেই সাথে উনার সরকারী হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টে বার বার ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পরও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এলাকার কৃষক,ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলের ব্যক্তিরা এই চাঁদাবাজদের লাগাম দ্রুত টেনে ধরার জন্য সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply