মো.শিফাত মাহমুদ ফাহিম,বিশেষ প্রতিনিধি:নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ০৩-নং আহসানগঞ্জ ইউপির নিকটস্থ পার-বজ্রপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে কৌশলে গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবককে রাতের আঁধারে বাড়ীতে ডেকে এনে তার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে কয়েকজন মিলে অমানবিক শারিরীক নির্যাতন করে।এতে মৃত সাথে পাঞ্জা লড়ছে ভুক্তভোগী ওই যুবক।
ঘটনাটি ঘটে গত (০৬ জুন) রোজ বৃহস্পতিবার রাত্রি ১১ ঘটিকায় উপজেলার পার-বজ্রপুর গ্রামে।অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের ফলে যুবক সবুজ (২৪),পিতা মৃত আকবর আলী,এখন মৃত্যু শয্যায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ সবুজের সাথে একই গ্রামের হান্নান (৩৮),পিতা মো.মনসুর আলী, নামক ওই যুবকের বিবাদ চলে আসছিল।অভিযুক্ত হান্নান তার মনের ক্ষোভ মিটাতে এবং সবুজের উপর প্রতিশোধ নিতে তার প্রবাসী ভাই মান্নানের সুন্দরী স্ত্রী বর্ষাকে (২২) ব্যবহার করে কৌশলে সবুজের পিছে লেলিয়ে দেয়।
কথিত প্রেমিকা গৃহবধূ বর্ষা তার দেবর হান্নানের কথায় মিছে প্রেমের অভিনয় করে সবুজের সাথে।এক পর্যায়ে সবুজকে তার মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ভালিয়ে ভুলিয়ে ঈদ-উল আযহার রাতে তাদের বাড়ীতে ডেকে নেয়।এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সবুজের উপর দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েন বর্ষা,হান্নান ও হান্নানের স্ত্রী।এ নির্মম হামলায় আরও অংশ নেয় উপজেলার ০২ ভোঁপাড়া ইউপির নিকটস্থ সদুপর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা শিশনাগ খ্যাত রতন (২৪)।তারা সবাই মিলে সবুজকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর করে এবং মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রধান অভিযুক্ত হান্নানের সাথে তার মুঠোফোনে কল দিয়ে কৌশলে কথা বলা হলে তিনি হামলার স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।সেই সাথে এ নির্মম হামলা মিশনে সে (হান্নান) সহ উপরোক্ত অভিযুক্তরা অংশ গ্রহণ করেছিল বলে জানান।তারা সবাই সবুজকে উপযুক্ত পরিমান মারধোর করেন হত্যার উদ্দেশ্যে।সেই সাথে তিনি আরও ভয়াবহ স্বীকারোক্তি প্রদান করেন তাদের পরিকল্পনা ছিল তাকে (সবুজ) জবাই করে হত্যা করার।কিন্তু তা সফল হয়নি আশপাশের লোকজনদের কারনে।
আহত সবুজের ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারপরও হান্নান গ্যাংদের হিস্রতা কমে না।তাদের হিস্রতার কাছে অসহায়ত্ব বরণ করে কেউ একজন জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।তার অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ হওয়ায় তাকে দ্রুত আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাঠানো হয় রাজশাহী সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী সবুজের এক আত্মীয়।
এলাকাবাসী, পাড়াপ্রতিবেশি সহ সচেতন মহল হান্নান ও হান্নান গ্যাংদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।তারা আরও বলেন, সবুজ অপরাধী হলে তাকে আটক করে প্রশাসনের হাতে উঠিয়ে দিত।দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তারা সাজা হত।কিন্তু তা না করে মনের রাগ-ক্ষোভ মেটাতে একজন মানুষকে কৌশলে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে এভাবে নির্যাতন করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?আমরা সবাই দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি শাহাবুদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন,এখনো কোনো পক্ষ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি।লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply