সাভার প্রতিনিধি :
সাভারের আশুলিয়ায় কাজিম উদ্দিন নামের পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার পরিবারের অভিযোগ সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ঈগল প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের নির্বাচন করায় নির্বাচনের পর বেশ কয়েকবার তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে সেই জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় নিহতের নিজ গরুর খামারের পাশের একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
’পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, প্রায় রাতে বাড়ির পেছনে খামারের একটি ঘরে থাকতেন কাজিম উদ্দিন। ওই ঘরের তালার একটি চাবি কাজিমের কাছে ও আরেকটি তার স্ত্রীর কাছে থাকতো। বুধবার সকালে কাজিমের স্ত্রী দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢুকে বিছানার ওপরে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় কাজিমের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের জখম ছিল।
নিহতদের বড় ভাই গুল বাহাদুর কালবেলাকে বলেন, আমরা সকল ভাই ভাতিজারা ঈগলের নির্বাচন করেছি। স্থানীয় দেলোয়ার কন্ট্রাক্টরের ছেলে আনোয়ার তার ভাই ইমনসহ ১৫/২০ জনের একটি দল প্রতিনিয়ত আমার ভাই ভাতিজাকে হত্যার হুমকি দিত। একটা ছোট ভাতিজা আছে তাকেও আবোলতাবোল কথা বলে কয়েকদিন আগেও বাড়ির সামনে তাদের মারতে আসে পরে আমাকে কল দিলে আমি এসে দেলোয়ার ও আবুল কন্টাক্টর ডাকছি এসয় এলাকার কিছু মুরুব্বিও উপস্থিত ছিলো। আমরা ঈগল করছি এ কারনেই আমার ভাই খুন হয়ে গেছে আমি এরজন্য ন্যায় বিচার চাই। কে খুন করেছে সেটি প্রশাসন তদন্ত করে বের করুক।
নিহতের ছেলে লিয়াকত হোসেন লিংকন বলেন, গতকাল রাতে আমাদের খামারে একটি গরুর বাছুর হয় আমার বাবা বাছুর দেখতে এখানে আসে। রাত ১১টার দিকে আমার মা এবং আমার ছোটভাই এখানে আসে গরু দেখতে। সেসময় আমার ভাইয়ের সাথে অনেক্ক্ষণ কথা হয় পরে আমার বাবা বলেন তোরা যা আমি রাতে এখানে থাকবো। আমাদের খামারে একটি গেস্টরুম আছে ওই রুমের একটি চাবি আমাদের বাসায় থাকে আরেকটি চাবি এখানেই থাকতো। আজ সকালে আমার মা খামারের দায়িত্বে থাকা রাখালকে আমার বাবা কি করে সেটি জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান বাবা ঘুমাচ্ছেন পরে আমার মা এখানে এসে দেখেন কক্ষটি বাহির থেকে তালাবদ্ধ। তখন রাখাল এবং আমার মা তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান আমার বাবার রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় পরে রয়েছে। আমার বাবার সাথে এই এলাকায় কারো কোন শত্রুতা নেই তবে এবারের নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ সম্পর্কে আমার বাবার বেয়াই তাই তিনি ঈগল প্রতীকের সমর্থন করেছিলেন এ কারনে আমাদেরকে হুমকিও দেয়া হয়েছিলো। এমনকি গত মাসে আমার চাচাকে মারধরও করা হয়েছিলো। আমি বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
Leave a Reply