সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারের দক্ষিন বক্তারপুর মৌজার আর.এস-৫৬ ও ৫৭ নং দাগের ভূমি সংলগ্ন পাশ^বর্তী ধামরাই উপজেলার বড় কুশুরিয়া মৌজার অন্তর্ভুক্ত খাস জমিতে আধাপাকা দোকান, গুডাউন ও বাড়িসহ স্থাপনা নির্মান করিয়া সেগুলো বিক্রী এবং টাকার বিনিময়ে দখল হস্থান্তরের অভিযোগ উঠেছে এ.কে.এম আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নিয়ে সংবা প্রকাশ করতে চাওয়ায় উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা চাঁদা দাবির স্ট্যাটাস দেওয়াসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়ারনি করার হুমকি দিয়েছেন চতুর দখলবাজ এবং মামলাবাজ এ.কে.এম আসাদুজ্জামান সোহাগ। এঘটনায় বিষয়টি জানিয়ে সাভার মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে সাভার থানাধীন বক্তারপুর এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, সাভার পৌরসভার দক্ষিন পাড়া মহল্লার ১০৬/এ বাড়ির মালিক মৃত এ.কে.এম আজাদ রশিদের ছেলে এ.কে.এম আসাদুজ্জামান সাভার থানাধীন দক্ষিন বক্তারপুর মৌজার আর.এস-৫৬ ও ৫৭ নং দাগের ভূমি সংলগ্ন পাশর্^বর্তী ধামরাই উপজেলার বড় কুশুরিয়া মৌজার অন্তর্ভুক্ত খাস জমিতে আধাপাকা দোকান, গুডাউন ও বাড়িসহ স্থাপনা নির্মান করিয়া সেগুলো ভাড়া দিয়ে আসছেন। এছাড়া সেখানে একটি মসজিদ, একটি কবরস্থানও তৈরী করেছেন। যেই কবরস্থানে তার বাবার কবরসহ ২১টি কবর দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এ.কে.এম আসাদুজ্জামান।
একপর্যায়ে গত ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় খাস জমির দখলদার এ.কে.এম আসাদুজ্জামান তিনশ টওাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে রওশনারা বেগম নামে একজন নারীর কাছে দুই লাখ টাকায় একটি দোকানঘর ও উহার দখলসহ ওই ঘরে ব্যবহৃত যাবতীয় সরঞ্জামাদি বিক্রী করে দেন। যে স্ট্যাম্পে সাভার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদসহ ৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষর রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ওই স্ট্যাম্পের দাতা এ.কে.এম আসাদুজ্জামান বলেন, খাস জমির মালিক সরকার। আমি বিক্রী করেছি সেটা সরকার দেখবে আপনাদের এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি না। আপনারা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমি চাঁদাবাজির মামলা দিবো। এরপর থেকেই সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিকদের চাঁদা দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস প্রদান করেন।
এঘটনায় মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় এ.কে.এম আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার ভুক্তভোগী সাংবিকেরা।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জকি বলেন, সরকারী খাস জমি হস্তান্তর এবং কেনাবেঁচার কোন আইনি বিধান নাই। এটা সম্পুর্ন অবৈধ এবং এখানে উভয় পক্ষই অপরাধী। খাস জমি কেউ যদি প্রতারনা করে বিক্রী করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply