সাভার প্রতিনিধি :
সাভারের আউকপাড়া এলাকায় খামার বাড়ি নার্সারিতে শ্রমিকদের বসবাসের জন্যে বানানো ঘরে মধ্য রাতের পর কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে টিনের তৈরি ঘরটি জালিয়ে দিয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র সহ সব কিছু পুরে ছাই হয়ে পরে রয়েছে। বেশ কয়েকটি টিন পরে রয়েছে দুমড়েমুচড়ে। পাশেই পড়ে থাকতে দেখা গেছে একটি দেশীয় দা। বুধবার সকাল ১১:৩০ মিনিট পর্যন্তও ঘরের আসবাবপত্র জ্বলে ছাইয়ে মৃদু ধোঁয়া ও আগুন দেখা যায়। ঘটনা কখন কিভাবে ঘটেছে এ বিষয়ে আশপাশের কেউ কিছুই জানেনা।
নার্সারির মালিক ছামিউল শাহ্ ফকির বলেন,আগুন কখন লেগেছে জানিনা। কে লাগিয়েছে তাও জানিনা। আমি ঘটনার সময় ছিলাম না । আজ আনুমানিক সকাল ৮ টার দিকে আগুন লাগার খবর শুনে আমি নার্সারিতে আসি।এই নার্সারিতে আমার একজন লোক কাজ করে। আমার লেবুগাছ ও বিভিন্ন ফুলের গাছ সহ অনেকগুলো চারা নষ্ট করা হয়েছে, আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই। এবং ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার চাই।
আগুন লাগার পর থেকেই নার্সারিতে কর্মরত লিটন নামে একজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত টেলিফোন নম্বরটিও। নার্সারিতে কর্মরত তার সহকর্মীরা আশঙ্কা করছেন আগুন দিতে আসা দুষ্কৃতিকারীরা তার কোন ক্ষতি করেছে কিনা। কোনরকম কালক্ষেপণ ছাড়াই লিটনকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট দাবী জানিয়েছেন লিটনের সহকর্মীরা।
ঘটনার ভেতরের ঘটনা খুঁজতে স্থানীয় মুরুব্বী আলী হোসেন (৬১) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আগুন লাগার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। কারা আগুন লাগাতে পারে কোন ধারণা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে জানান এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা জানিনা। তবে শুনেছি এ জায়গাটি নিয়ে আশুলিয়ার রুস্তমপুরের শহিদু্ল্লাহ দেওয়ান,মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক( মিজান),ইলিয়াস দেওয়ান , কর্ণেল হাদি ও আউক পাড়া বস্তি এলাকার কামাল মাষ্টার গংদের সাথে বিরোধ চলমান রয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমানের নাতি আল-আমিন কালবেলাকে জানান তিন চারদিন আগে কামাল মাস্টার গংরা প্রায় দুই শতাধিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খামারে প্রবেশ করে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করে জবর দখলের চেষ্টা চালান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র এবং অবৈধ পিস্তল দেখা যায়। তাদের মধ্যে পারভেজ নামের একজন নিজেকে আশুলিয়া থানার ওসির ভাই বলে দাবি করেন।
আল-আমিনের দাবি যেহেতু সন্ত্রাসীরা তিন-চার দিন আগে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে খামারটি দখল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সে কারণে ভয় ভীতি সৃষ্টি করার জন্য তারাই এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
খামার মালিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ বলছে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply